মঙ্গলের মাটিতে নোনতা হাসি, জীবনের খোঁজে আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা
মঙ্গলের মাটির অনেক কিছুই অজানা। এবার সেখানে নোনতা হাসির দেখা মিলল। যা আবার অন্য সত্যির কথা বলছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
লাল গ্রহ মঙ্গলে যান পাঠানোর কথা ভাবছে পৃথিবী। যান পাঠিয়ে পরীক্ষা করে দেখবে মানুষ পাঠানোয় সমস্যা কোথায়। যদি দেখা যায় সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যাবে তাহলে ৪ বছরের মধ্যেই সেখানে মানুষ পাড়ি দেবে। এমনটাই দাবি করেছেন স্পেসএক্স সংস্থার মালিক ইলন মাস্ক।
মঙ্গলের অনেক কথাই এখন জানতে পারছেন বিজ্ঞানীরা। কোটি কোটি বছর আগে সেখানে নদী ছিল, দিঘি ছিল, ঝর্না ছিল। মঙ্গল জুড়েই প্রচুর জল ছিল। তা উবে যায় এক সময়। পড়ে থাকে শুকনো মঙ্গলের লোহা মিশ্রিত পাথুরে মাটি।
সেই লালচে মাটির হাত ধরে মঙ্গল হয়ে ওঠে লাল গ্রহ। এবার সেই মঙ্গলে হাসি মুখের দেখা মিলল। আসলে সেখানে এক জায়গায় এমনভাবে নুন জমে আছে যা একটি গোলাকার আকার নিয়েছে।
তারমধ্যে ২টি গোল গর্ত চোখের মত। সব মিলিয়ে যে হাসির ইমোজি দেখা যায় ঠিক তেমন দেখতে লাগছে উপর থেকে। যা নজরে পড়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির।
ইএসএ সোশ্যাল সাইটে সে ছবি শেয়ারও করেছে। সেই সঙ্গে বিজ্ঞানীরা নতুন আশার আলো দেখেছেন এই নোনতা হাসি মুখে। যে নুনের খোঁজ ওই জায়গায় পাওয়া গিয়েছে তা মঙ্গলে কোনও একসময় প্রাণ ছিল কিনা তার খোঁজ দিতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
ওই গচ্ছিত নুনে মঙ্গলে কোনও একসময় জীবনের অস্তিত্বের তথ্য লুকিয়ে থাকতে পারে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাছাড়া মঙ্গলের আগের আবহাওয়া বা ভূতত্ত্ব সম্বন্ধেও নানা তথ্য মিলতে পারে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।