সবই মহিলাদের নিয়ন্ত্রণে, এখানে মহিলারাই শেষ কথা
পৃথিবীতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ দেখেই সকলে অভ্যস্ত। কিন্তু মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত সমাজও রয়েছে। যেখানে সমাজের অভিভাবক মানে মহিলারাই। পৃথিবীর একটি জায়গাতেই বিরাজ করছে এই আপাত উলটপুরাণ।
পৃথিবীর অর্ধেক নারী। কিন্তু বহু যুগ ধরেই সমাজ চলছে পুরুষতান্ত্রিক ভাবনার ছত্রছায়ায়। নারীতান্ত্রিক কোনও সমাজ দেখতে পাওয়া যায়না। কিন্তু এই বিশ্বেই এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে নারীতান্ত্রিক সমাজ দিব্যি চলছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে।
যেখানে সমাজকে রক্ষার দায়িত্ব নারীদের হাতে। তাঁরাই এ বিষয়ে শেষ কথা। তাঁরা কেবল সমাজ সংস্কৃতি, পরম্পরা রক্ষা করছেন তাই নয়, তা পরবর্তী প্রজন্মকে শেখাচ্ছেনও। ৭০০ মানুষের এই দ্বীপে নারী শক্তির এই প্রতাপ মেনে নেন পুরুষরা। এখানে মহিলারাই সমাজের মাথা এবং অভিভাবক।
এস্তোনিয়ার কিনু দ্বীপে এই নারীতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা চলে আসছে বহুকাল ধরে। এখানে যাঁরা বসবাস করেন তাঁদের অধিকাংশই মৎস্যজীবী। তাঁরা একবার সমুদ্রে গেলে মাস কেটে যায় ফিরতে।
ফিরে আবার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা পাড়ি দেন সমুদ্রে। কার্যত এখানকার পুরুষদের জীবনের অধিকাংশটাই কেটে যায় সমুদ্রে। তাই এই বাল্টিক সাগরের ওপর অবস্থিত দ্বীপটির সমাজ, সংস্কৃতি, পরম্পরা রক্ষার দায়িত্ব এখানকার নারীদের।
তাঁরাই এই দ্বীপটিকে সাজিয়ে রেখেছেন, সুস্থভাবে পরিচালনা করছেন জীবনধারা। ছোটদের কিনু দ্বীপের সংস্কৃতি, পরম্পরাও তাঁরাই শেখান। যাতে তারা বড় হয়ে এই সমাজব্যবস্থাকে ঠিক এভাবেই টেনে নিয়ে যেতে পারে।
কিনু দ্বীপের এই নারীকেন্দ্রিক রীতি নীতি কিন্তু আজকের নয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরেই এই ব্যবস্থা সেখানে চলে আসছে। কিনু কিন্তু ছোট দ্বীপ নয়। বরং গালফ অফ রিগা-র সবচেয়ে বড় দ্বীপটির নাম কিনু।