পৃথিবীকে কফি খাওয়া শিখিয়েছিল ছাগল, সে কাহিনি আজও মুখে মুখে ঘোরে
চা ছাড়া কফিই এমন এক পানীয় যা পৃথিবীজুড়ে সমাদৃত। কফির কাপে চুমুক দিতে ভালবাসেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। পৃথিবীকে কফি খেতে কিন্তু শিখিয়েছিল ছাগল।
ভারতের মত দেশে চা হল সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। কারণ অবশ্যই এখানে চা সহজে পাওয়া যায়। তুলনায় কফি উৎপাদনও সামান্য। দামও সকলের ধরাছোঁয়ার মধ্যে নয়। কিন্তু কফিতে চুমুক দিতে পছন্দ করেননা এমন ভারতীয়ের সংখ্যাও কম।
কফি বিশ্বজুড়ে প্রায় সকলেরই প্রিয় একটি পানীয়। কিন্তু এমন এক উপাদেয় এবং স্ফূর্তি ফেরানো পানীয় সম্বন্ধে পৃথিবীর মানুষ জানল কীভাবে? সে প্রশ্নের উত্তর পেতে কয়েক শতাব্দী পিছনে চলে যেতে হবে।
ইথিওপিয়ার মালভূমি অঞ্চলে তখন ছাগল চরানো হত। ছাগলের পাল নিয়ে এক পশুপালক চলেছেন। পথে খাবারের জন্য ছাগলরা এদিক ওদিক গাছের পাতা, ফল চিবিয়ে নিচ্ছে।
এভাবে একটি বিশেষ গাছের ফল বা বীজ দেখে ছাগলগুলি তা দিব্যি চিবোতে থাকে। ছাগলরা তাদের খাবার পেয়েছে এটা দেখার পর সেই পশুপালকও নিশ্চিন্তে ছিলেন। কিন্তু সমস্যাটা হয় তারপর।
ওই পশুপালক নজর করেন তাঁর ছাগলরা ওই গাছের ফল খাওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে চনমনে ভাব বেড়ে গেছে। এমনকি তিনি রাতেও নজর করেন যে ছাগলরা ঘুমোতে চাইছে না। তারা জেগে স্ফূর্তিতে কাটাচ্ছে।
এত স্ফূর্তি এল কোথা থেকে? তাহলে কি ওই ফলই এমন চনমনে করে দিল তাঁর ছাগলদের? বিষয়টি তিনি স্থানীয় মনেস্ট্রিতে জানান। তারা বিষয়টি জানার পর গাছের ফলগুলি খতিয়ে দেখে তা থেকে একটি পানীয় তৈরি করে। সেই তৈরি হল কফি।
কফির এই গুণের কথা ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। দ্রুত তা আরব্য খাঁড়ি এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। পঞ্চদশ শতাব্দীতে কফি উৎপাদনও শুরু হয়ে যায় এখানে। তারপর তা পারস্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং ক্রমে পৌঁছে যায় ইউরোপে।