পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যেখানে ঢোকা মানেই ৮ বছর পিছনে চলে যাওয়া
পৃথিবী এখন যে বছরে রয়েছে, এ দেশ তার চেয়ে ৮ বছর পিছনে থাকে। কোনও বিদেশি পর্যটক এ দেশে ঢুকলে চলে যান ৮ বছর পিছনে।
পৃথিবী যে সাল মেনে চলছে এ দেশ তার চেয়ে ৮ বছর পিছিয়ে থাকে। যে বছর মেনে কেউ এ দেশে প্রবেশ করলেন, তাঁকে এ দেশের সীমানা পার করলেই ৮ বছর পিছিয়ে যেতে হবে। তিনি তাঁর নিজের দেশে ৮ বছর আগে যে সালটা ফেলে এসেছেন, এ দেশে ঢোকা মানে সেই সালে ফের পৌঁছে যাওয়া।
বিশ্বাস হচ্ছে না? না হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এমনও একটি দেশ রয়েছে এ পৃথিবীর বুকে। যারা পৃথিবীর থেকে ৮ বছর পিছিয়ে চলে। দেশটি যথেষ্ট পরিচিতও।
গোটা বিশ্ব গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে চলে। যে ক্যালেন্ডারে যিশুখ্রিস্টের জন্ম ধরে সাল নির্ধারিত হয়। কিন্তু ইথিওপিয়া মেনে চলে তাদের নিজস্ব ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডার। সেই ক্যালেন্ডার গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সঙ্গে মেলে না।
তা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের চেয়ে ৮ বছর পিছিয়ে থাকে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ১১ সেপ্টেম্বর ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডারে নববর্ষ। এই ক্যালেন্ডারে আবার ১২ মাসে বছর নয়, ১৩ মাসে বছর হয়।
এটা পর্যটক বা সে দেশে অন্য কোনও কাজে যাওয়া ভিনদেশিদের জন্য বেজায় সমস্যার কারণ হয়। কারণ আফ্রিকার এই রাষ্ট্র ৮ বছর পিছিয়ে চলে। মনে হয় যেন তাঁদের কেউ টাইম মেশিনে চাপিয়ে পিছনে নিয়ে চলে গেছে।
আফ্রিকার সবচেয়ে পুরনো স্বাধীন রাষ্ট্র ইথিওপিয়া তাদের এই প্রাচীন রীতি কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলায়নি। তারা এখনও তাদের ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডার মেনেই চলে।