
ফ্রান্সকে হারিয়ে ইউরো কাপ জিতে নিল পর্তুগাল। তবে খেলার পরতে পরতে ছিল নাটকীয়তা। যা অবশ্যই রোনাল্ডোকে ঘিরে। সিআর সেভেন এদিন মাঠে নামার পর বেশ কয়েকবার চোটের আঘাতে কাতরে ওঠেন। তারপর ২৪ মিনিটের মাথায় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে। তাও স্ট্রেচারে। পর্তুগালের বড় ভরসা মাঠ ছাড়তেই গোটা ফ্রান্স লাফিয়ে ওঠে আনন্দে। বিপক্ষের আসল লোকটাই নেই। ফলে তারা কিঞ্চিত নিশ্চিত হয়ে যায় যে ৯০ মিনিট খেলার অপেক্ষা। জিতটা আপনিই তাদের ঝুলিতে আসতে চলেছে। ফ্রান্সের ১১ জন খেলোয়াড়ও রোনাল্ডোহীন পর্তুগালের বিরুদ্ধে অনেক সংঘবদ্ধ আক্রমণ শানাতে শুরু করে। সব দেখেশুনে মনে হচ্ছিল দিনটা বোধহয় গ্রিজম্যানদেরই। প্রথম ৯০ মিনিটে সুযোগ এসেছে বহু কিন্তু ফিনিশ হয়নি। ফলে অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ায়। আর সেখানেই জ্বলে ওঠে পর্তুগাল। ১০৯ মিনিটের মাথায় পর্তুগালের এডারের শট ফ্রান্সের জালে জড়াতেই গোটা ফ্রান্সের হুল্লোড় থেমে যায়। পর্তুগালের দর্শকদের তখন উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে। বাকিটা সময়টা ছিল ফ্রান্সকে আটকে রাখার কৌশল। যাতে সম্পূর্ণ সফল রোনাল্ডোহীন পর্তুগাল। যে টিমটা এবারের গ্রুপ লিগ থেকে শেষ ১৬-তে পৌঁছেছিল নিছক নিয়মের সুযোগ নিয়ে। কারণ গ্রুপ লিগে তাদের স্থান হয়েছিল তৃতীয়।