Sports

ধামাকা দিয়ে শুরু ইংল্যান্ডের, রুদ্ধশ্বাস জয়ে শেষ করল ইতালি

ইউরো কাপ জিতল ইতালি। তবে ম্যাচ হয়েছে টানটান। ইংল্যান্ড নিজের মাঠে ফাইনালে উঠেও কাপ জিততে অপারগ। যা গ্যালারিতে অনেকের চোখে জল এনেছে।

ইউরো কাপের ফাইনালে ইতালি বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচ হল টানটান। খেলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইতালির জালে বল জড়িয়ে দেয় ইংল্যান্ড। খেলার পুরো ২ মিনিটও তখন হয়নি।

ইংল্যান্ডের উইঙ্গারের একটি ভাসানো বল একদম বিপরীত দিকের উইঙ্গার লুকা শ-এর পায়ের ছোঁয়ায় জড়িয়ে যায় গোলে।


গোলকিপারের কিছুই করার ছিলনা। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে তখন উচ্ছ্বাসের বন্যা বইছে। মাঠে খেলোয়াড়রা স্বপ্নপূরণের পথে এক ধাপ এগোনোর খুশিতে মাতোয়ারা।

খেলার শুরুতেই গোল খেয়ে এবার পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইতালি। ইতালিই বেশি আক্রমণ হানছিল ইংল্যান্ডের গোলে।


৩৪ মিনিটের মাথায় একটি জোড়াল শট ইংল্যান্ডের গোলপোস্টের গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৪৫ মিনিটেও একটা দারুণ সুযোগ পায় ইতালি। কিন্তু ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে বল ক্লিয়ার হয়।

দ্বিতীয়ার্ধের ৪৮ মিনিটের মাথায় সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। কিন্তু গোল মুখে পৌঁছেও বল পর্যন্ত পৌঁছতে না পারা ইতালিকে বাঁচিয়ে দেয়। ৫০ মিনিটে আবার পাল্টা ইতালি সুযোগ পায়।

৬৭ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় ইতালি। সেখান থেকে ভাসানো বলে গোলে বল মারলেও তা বাঁচিয়ে দেন ইংল্যান্ডের গোলকিপার। বল ফিস্ট করার পর গিয়ে লাগে বারে। বারে লেগে ফেরত আসা বল অবশ্য গোলে ঠেলতে এতটুকু ভুল করেননি লিওনার্দো বোনুচি। খেলায় সমতা ফেরায় ইতালি। ৭২ মিনিটে ফের গোলমুখ খোলা পেলেও বল জালে জড়াতে পারেনি ইতালি।

এদিন খেলায় সুযোগ বেশি পেয়েছে ইতালি। হয়তো গোল সংখ্যাও বেশি হত। কিন্তু অনবদ্য ভূমিকা নেন ইংল্যান্ডের গোলকিপার। হয়তো দলটাও ওই মানের খেলা খেলতে পারলে ইংল্যান্ড তাদের ৫৫ বছরের খরা এদিন কাটাতে পারত।

খেলা এরপর এক্সট্রা টাইমে গড়ায়। সেখানেও ফয়সালা না হওয়ায় তা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে প্রথম ২টি শটে গোল করতে পারলেও পরের ৩টি শট পরপর মিস করে ইংল্যান্ড।

অন্যদিকে ২টি মিস করে ৩টি বল জালে জড়িয়ে শেষ হাসি হাসে ইতালি। এই প্রথম ইংল্যান্ড ইউরোর ফাইনালে পৌঁছেছিল। নিজেদের মাঠে সুযোগ ছিল স্বপ্নের জয় পাওয়ার। কিন্তু তা অধরাই রয়ে গেল।

Show Full Article
Back to top button