বিরক্তিকর কাজটি এখন আকাশে বা পাহাড়ের চুড়োর মজার খেলা
দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজের মত এটাও একটা কাজ। তবে এ কাজটি করতে কেউই খুব একটা মজা পান না। যা কিন্তু এখন মজার খেলায় পরিণত হয়েছে।
ছিল বেড়াল, হয়ে গেল রুমাল! কথাটা তো শুনেছেন। প্রায় তেমনই বলা যেতে পারে। ছিল একটা দৈনন্দিন সাদামাটা জীবনের বিরক্তিকর কাজ। হয়ে গেল খেলা।
তাও আবার যাকে বলে এক্সট্রিম স্পোর্টস। অর্থাৎ যা গতানুগতিক খেলাধুলোর মধ্যে পড়েনা। যা করার সঙ্গে একটা রোমহর্ষক ব্যাপার জড়িয়ে আছে!
জামাকাপড় কেচে শুকোনোর পর তা ফের পরতে গেলে ইস্ত্রি তো করতেই হয়। অনেকে বাইরে ইস্ত্রি করতে দেন। কেউ বাড়িতেই ইস্ত্রি করে নেন।
ইস্ত্রি নামক কাজটি এমনিতে বড়ই বিরক্তিকর। প্রায় কেউই এমন নেই যিনি খুব আনন্দ করে ইস্ত্রি করেন। করতেই হবে তাই করা। সেই ইস্ত্রি করা যে এমন এক টানটান খেলায় রূপান্তরিত হতে পারে তা বোধহয় অনেকের ধারনার বাইরে।
এখন কিন্তু ইস্ত্রি একটি রোমাঞ্চকর খেলায় পরিণত হয়েছে। তবে ঘরের মধ্যে ইস্ত্রি করলে হবেনা। ইস্ত্রি করতে হবে প্যারাসুটে আকাশে ভেসে। মাটি থেকে অনেক হাজার ফুট ওপরে।
অথবা ইস্ত্রি নিয়ে চলে যেতে হবে পাহাড়ের চুড়োয়। তারপর সেখানে করতে হবে ইস্ত্রি। আবার কেউ হয়তো গহন জঙ্গলে জন্তুজানোয়ারের ভয় জয় করে ইস্ত্রি করছেন।
এটাও খেলা। তবে এটা এখন এক্সট্রিম স্পোর্টসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। ইংল্যান্ডের বাসিন্দা ফিল শ নামে এক ব্যক্তি ইস্ত্রি করাকেও যে এমন এক খেলা করে তোলা যায় তা ভেবেছিলেন।
তবে ফিল বেশি ঝুঁকি নেননি। বাড়ির পিছনের বাগানে করেছিলেন ইস্ত্রি। কিন্তু এ কাজকে রোমাঞ্চকর খেলা হিসাবে দেখার পথটা খুলে দিয়েছিলেন।