ভাই হয়েও কঠিন সময়ে কখনও আমির খানের সাহায্য নেননি
কঠিন সময় কেটেছে। অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে গেছে কেরিয়ার। তবু কখনও আমির খানের সাহায্য নেননি তিনি। অবশেষে আলোর রেখা দেখতে পেয়েছেন।
জুনিয়র অভিনেতা হিসাবে ‘পেয়ার কা মৌসম’, ‘কায়ামত সে কায়ামত তক’ সহ কিছু সিনেমায় তাঁকে প্রথম দেখা গিয়েছিল। তারপর ‘মদহোশ’, ‘মেলা’ বা ‘বর্ডার হিন্দুস্তান কা’ সিনেমাতেও তাঁকে অন্যতম ভূমিকায় দেখা যায়।
কায়ামত সে কায়ামত তক বা মেলা সিনেমায় দাদা আমির খানের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নেন তিনি। কিন্তু আমির খানের কেরিয়ার গ্রাফ যতটা মসৃণভাবে উপরে উঠেছে, তাঁর ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি।
দর্শক মনে সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি তাঁর অভিনয়। পরিচালনার কাজেও আসেনি তেমন সাফল্য। অবশেষে কার্যত হারিয়ে যান ফয়জল খান।
তাঁর নামটাই সকলে প্রায় ভুলে গিয়েছিলেন। এক কঠিন, অন্ধকার সময়ের মধ্যে দিয়ে ফয়জলের জীবন কাটতে থাকে। কেরিয়ারে সেই সাফল্য আসেনি কখনওই।
কঠিনতম সময়ের মধ্যে দিয়ে গেলেও ফয়জল কিন্তু চেয়েছিলেন তাঁর পথ তিনি একাই হাঁটবেন। কিন্তু যাঁর দাদার নাম আমির খান তাঁর জীবন এতটা অন্ধকারে ডুবে যাবে কেন?
দাদা হিসাবে আমির তো সাহায্য করতেই পারতেন! ফয়জল জানাচ্ছেন, তিনি সেটা একেবারেই চাননি। তিনি চেয়েছিলেন নিজের রাস্তা নিজে তৈরি করতে। দাদার সাহায্য নিয়ে নয়।
তাঁর সাফল্যও যেমন তাঁর, ব্যর্থতাও তাঁর। আমিরের শুভেচ্ছা তাঁর সঙ্গে ছিল ঠিকই। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে কেরিয়ারে সফল হতে চাননি ফয়জল।
দীর্ঘ অন্ধকার সময় কাটিয়ে ফয়জল অবশ্য ফিরছেন। ‘ফ্যাক্টরি’ নামে একটি সিনেমায় অভিনেতা ও পরিচালক হিসাবে সামনে আসছেন তিনি। এই সিনেমা সফল হলে হয়তো ফয়জলের কেরিয়ারের গাড়ি ফের ট্র্যাকে ফিরবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা