তবে কী ক্রমশ জমাট বাঁধছে বিরোধী ঐক্য? এ প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক মহলের অন্যতম আলোচ্য বিষয়। এদিন কংগ্রেসের ডাকে দিল্লিতে লালু, মমতা, দেবেগৌড়া সহ ১৭ দলের প্রধানরা মিলিত হওয়ায় সেই ইঙ্গিত ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। এদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম ছিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হত। এবারও তাই করুক মোদী সরকার। তারা তাদের পছন্দের নামগুলি জানাক। বিরোধীরা যদি দেখেন তিনি ধর্মনিরপেক্ষ, সকলের পছন্দের হন, তবে তাঁকেই প্রার্থী করা হবে। তবে অন্যান্য কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা এদিন এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। জানান একটি কমিটি গড়া হবে। সেই কমিটির তরফেই তাঁদের কথা সামনে আনা হবে। এদিন সনিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে শরদ যাদব, লালুপ্রসাদ যাদব, সীতারাম ইয়েচুরিদের দেখা গেলেও বৈঠক এড়িয়েছেন এই মুহুর্তে দেশে আঞ্চলিক ক্ষমতাশালী দলের অন্যতম প্রধান মুখ নীতীশ কুমার। বরং সনিয়া নয়, আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। যদিও বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নীতীশ বিজেপি দ্বন্দ্ব খোলাখুলি সামনে এসে পড়ে। তাই বিজেপিকে ছেড়ে লালুর হাত ধরে বিহারের মসনদে দ্বিতীয়বারের রাস্তা পাকা করেন নীতীশ। বড় হারের মুখে পড়তে হয় বিজেপিকে। তাই এই মুহুর্তে বিরোধীদের এক ছাদের তলায় আসতে হলে নীতীশ কুমারের সঙ্গে থাকা জরুরি। সেই অবস্থা তৈরি হবে কিনা তা এখনও পরিস্কার নয়।