দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল তাদের নিজের নিজের রাজ্যে শক্তিশালী। তাই তাদের মধ্যে আদপে কোনও ফারাক নেই। তাদের একজোট হতে হবে। একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। বিজেপিকে হারানোই সকলের লক্ষ্য হওয়া দরকার। এখনই এই ফ্রন্টে কাকে প্রধানমন্ত্রী বাছা হবে সেই নাম নিয়ে আলোচনার সময় আসেনি। নাম নিয়ে আলোচনা করতে গেলে মূল লক্ষ্য পূরণ হবে না। আগে লড়াই করে জিততে হবে। তারপর সকলে একসঙ্গে বসে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু এখন সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে একসঙ্গে একজোট হয়ে বিজেপিকে হারানোর লক্ষ্য স্থির করতে হবে। শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই জানালেন জম্মু কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা।
তিনি জানান, এদিনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বিজেপিকে হারানোর প্রসঙ্গ উঠে এসেছে স্বাভাবিকভাবেই। এছাড়াও কাশ্মীরের পর্যটন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওমর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় যোগ দিতেই তাঁর কলকাতায় আসা। আর এখানে যখন এলেনই তখন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর রাজ্যের অবস্থা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। সেটাই করেছেন। জম্মু কাশ্মীরের অবস্থা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোটা তাঁর লক্ষ্য ছিল। সেইসঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
ফ্রন্ট তৈরি হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন? ওমর আবদুল্লাকে করা এই প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী যে বেশ অস্বস্তিতে পড়েন এদিন তা ধরা পড়েছে। কিছুটা ক্ষুব্ধও হয়তো হয়েছিলেন। প্রশ্নের পর ওমর আবদুল্লার পাশ থেকে সরে গিয়ে ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে তাঁকে আলোচনাও করতে দেখা যায়। এরপর ওমর আবদুল্লার বলা শেষ হওয়ার পর তিনি বলেন, এখনই ফ্রন্টে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন সেই নাম নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে ফ্রন্টকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা। নাম কোনও বিষয় নয়। বিজেপিকে হারানোই লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যে তাঁরা একজোট হতে চান। বিজেপি নেতারা তাঁদের ভয় দেখাচ্ছেন বলেও এদিন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।