দুর্বল ডিফেন্সের খেসারত দিতে হল জার্মানিকে। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে এদিন কলকাতার মাঠে ছিল ব্রাজিল-জার্মানি দ্বৈরথ। খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই ঐতিহাসিক মুহুর্তের সাক্ষী থাকতে তৈরি ছিল মহানগরী। টিকিটের হাহাকার। কানায় কানায় ভর্তি যুবভারতী। মাঠে ব্রাজিলের সমর্থকরাই ছিলেন সিংহভাগ। জার্মানির সমর্থক সংখ্যায় কম। খেলা শুরুর পর থেকে কিন্তু ব্রাজিল আক্রমণ শানাতে থাকে। জার্মানি যে ডিফেন্সে দুর্বল তা আগেই বুঝে গেছে ব্রাজিল। তাই সেই দুর্বল জায়গায় চাপ তৈরি শুরু করে তারা। খেলার প্রথম ১৫ মিনিটে ব্রাজিলের গোলের কাছাকাছিই পৌঁছতে পারেনি জার্মানি। বরং বারবার জার্মানির গোলে হানা দিয়েছে হলুদ ব্রিগেড। খেলার ২১ মিনিটের মাথায় আচমকাই ব্রাজিলের গোলে আক্রমণ হেনে একটা পেনাল্টি পায় জার্মানি। সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি তারা। আর্পের অব্যর্থ শট ব্রাজিলের জালে জড়িয়ে যেতেই কতিপয় জার্মান সমর্থকের উল্লাসে যুবভারতী সরব হয়। এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের খেলা চললেও প্রথমার্ধে তেমন সুবিধে করতে পারেনি ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধেও জার্মান গোল মুখ খুলতে হিমসিম খাচ্ছিল ব্রাজিল। গোল মুখ খুলল খেলার ৭১ মিনিটে। ওয়েভারসনের গোলে খেলায় সমতা ফেরায় ব্রাজিল। লড়াইয়ে ফিরে বাড়তি অক্সিজেনও মেলে। এর ফল যে কী হতে পারে তা মাত্র ৬ মিনিটের ব্যবধানেই টের পায় জার্মানি। বুলেট গতির শটে গোল লাইনের বাইরে থেকে মারা পাউলিনহোর শট জার্মান গোলকিপার বুঝে ওঠার আগেই তা জড়িয়ে যায় জালে। ২-১-এ এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এরপর বাদবাকি সময় ও ইনজুরি টাইম হিসাবে পাওয়া ৬ মিনিটেও ব্রাজিলের গোলমুখ খুলতে পারেনি জার্মানি। অবস্থা তৈরি হয়েছে। গোল না হওয়াটাই মুশকিল মনে হয়েছে। কিন্তু সেই সুযোগও ফিনিশ করতে পারেনি জার্মানি।
এদিন জার্মানির ডিফেন্সের দুর্বলতা ও গোল করার জন্য ফিনিশারের অভাব নজর কেড়েছে। জার্মানির কিশোরদলের এতটা দুর্বলতা নিয়ে ব্রাজিলের মত শৈল্পিক ফুটবল খেলা দেশকে রুখতে না পারাটাই স্বাভাবিক ছিল। হলও সেটা। এদিন জার্মানিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ব্রাজিল। আর জার্মানির দৌড় শেষ হল কোয়ার্টার ফাইনালেই।