খেলা শুরুর সময় বিকেল ৫টা। কিন্তু ভিড় জমতে শুরু করেছিল দুপুর থেকেই। বিকেল ৩টে থেকেই মাঠে ঢোকার জন্য লাইন পড়তে শুরু করে। স্টেডিয়ামের বাইরেও চলছে উৎসব। কেউ পছন্দের দলের জাতীয় পতাকার রঙে মুখ রাঙাচ্ছেন। কেউ আবার মাথায় হেয়ার ব্যান্ড পড়ে দলের জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়েই গলা ফাটাচ্ছেন। তবে দলে ভারী ব্রাজিলই। কলকাতা ফুটবলের শহর। কলকাতার একটা বড় অংশ ব্রাজিলের সমর্থকও বটে। তাই এদিন মাঠের বাইরে দলে ভারী ব্রাজিলই। তবে ইংল্যান্ডের সমর্থক যে একেবারেই নেই, তা নয়।
এদিকে স্টেডিয়ামের গেটের মুখে লাইনের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশ মোতায়েন ছিল দেখার মতন। পুলিশ বেশ কড়া অবস্থানও নিয়েছিল। শৃঙ্খলা রক্ষার প্রশ্নে কোনও আপসে যে তাঁরা রাজি নন, তা দর্শককুলকে পরিস্কার করে দিয়েছেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। এর মধ্যেই টিকিট ব্ল্যাক করতে এসে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে কয়েকজন যুবক।
অন্যদিকে ব্রাজিল বা ইংল্যান্ডের সমর্থক বলেই নয়, এদিন ভারতের জার্সি গায়েও অনেক ফুটবলপ্রেমীকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। দেখা মিলেছে অনেক বিদেশিরও। যাঁরা নিজের দলের জন্য গলা ফাটাতে এদিন আগেভাগেই পৌঁছে গেছেন যুবভারতীর গ্যালারিতে। প্রচুর মানুষ টিকিট না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র ফুটবলের আবহটাকে উপভোগ করার জন্য স্টেডিয়ামের বাইরে উৎসবে মেতে ওঠেন।