জার্মানিকে হারানোর পর যুবভারতী হয়ে উঠেছিল মারাকানা। কলকাতার মানুষ যে ব্রাজিলের জন্য এমনভাবে গলা ফাটাতে, উল্লাসে মেতে উঠতে পারেন তা ব্রাজিলের মানুষেরও বিশ্বাস হচ্ছিল না। এদিন সেমিফাইনালেও ব্রাজিল সমর্থকের সংখ্যা ছিল বেশি। কিন্তু সেই ব্রাজিলকেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হল। মাঠে সাম্বা ফুটবলের যাদু দেখা গেলেও স্কিলের যাদু আর দুরন্ত গেমপ্ল্যানে শেষ হাসি হাসল ইংল্যান্ড। হ্যাটট্রিক করে এদিনের নায়ক ইংল্যান্ডের রিয়ান ব্রিউস্টার। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টি গোলই এসেছে এই কিশোর প্রতিভার পা থেকে। যার জেরে ব্রাজিলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল তারা। আর আগের দিনের মারাকানা হয়ে ওঠা যুবভারতীতে জড়ো হওয়া একটা বড় অংশের মানুষের মুখেই ফুটে উঠল চরম হতাশা।
এদিন খেলার ১০ মিনিটের মাথায় ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে ১-০-তে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। কিন্তু ২১ মিনিটের মাথায় ব্রাজিলের ওয়েশলে আন্দ্রাদে-র গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় ব্রাজিল। ৩৯ মিনিটের মাথায় ফের ব্রিটিশ ম্যাজিক। রিয়ানের গোলে আবার এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল চেষ্টায় খামতি রাখেনি। কিন্তু ইংল্যান্ডের সাজানো রক্ষণভাগের সামনে বারবার ব্যর্থ হয়েছে ব্রজিলের যাবতীয় প্রচেষ্টা। বরং পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের ৭৭ মিনিটের মাথায় ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করে কার্যত ওখানেই ব্রাজিলের সব আশা শেষ করে দেন রিয়ান।