ভারতে ফুটবলের শহর বলতে যে নামটা সকলের মুখে প্রথমেই আসে সেটা কলকাতা। সব খেলার সেরা বাঙালির ফুটবল বঙ্গ জীবনের এক আদি সত্য। অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালের জন্য যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনকে বেছে নিয়ে আসলে বাংলার সেই ফুটবল প্রেমকেই কুর্নিশ জানাল ফিফা। আগেই কলকাতা, দিল্লি, গুয়াহাটি, কোচি, মারগাঁও ও নবি মুম্বইয়ের স্টেডিয়ামের রেইকি করে গেছেন ফিফা কর্মকর্তারা। এদিন জানান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আর সেই সিদ্ধান্তে ফুটবল ফাইনালের জন্য যুবভারতীর নাম ঘোষণা করেন তাঁরা। দেশের এত মাঠ থাকতে যুবভারতীই কেন? তারও জবাব দিয়েছেন তাঁরা। ফিফার দাবি, যুবভারতীই এমন একটা স্টেডিয়াম যার আশপাশে ৬টি ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। যারমধ্যে ২টি যুবভারতীর খুবই কাছে।
এদিন যুবভারতীকে সরাসরি ব্রাজিলের মারাকানার সঙ্গে তুলনা করেছেন ফিফা কর্তারা। তাঁদের দাবি, যুবভারতীকে যেভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে তাতে সব তৈরি হয়ে গেলে এটা মারাকানার মত বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি স্টেডিয়াম হবে। ফিফার এই প্রশংসা অবশ্যই বাঙালির জন্য গর্বের। আগামী অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। দেশের বিভিন্ন মাঠের সঙ্গে যুবভারতীর ঝুলিতে ফাইনাল ম্যাচ ছাড়াও এসেছে মোট ১০টি ম্যাচ। যারমধ্যে ১টি প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালও রয়েছে। বিশ্বকাপের জন্য ঢেলে সাজানোও হচ্ছে যুবভারতীকে। বদলে ফেলা হয়েছে সিট। ফলে লক্ষাধিকের জায়গায় এবার যুবভারতীতে সিটের সংখ্যা হবে সর্বাধিক ৮৫ হাজার। বদলাচ্ছে বাইরেটাও। অন্তর্জাতিক মানের কথা মাথায় রেখেই বদলাচ্ছে সবকিছু। ফিফা সব দেখে খুশি। আর বঙ্গবাসী খুশি এই সম্মানের জন্য। আগামী মে মাস থেকেই টিকিট বিক্রি শুরু হবে বিশ্বকাপের।