হোক অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল, তবু বিশ্বকাপ বলে কথা। তাই এদিন ইংল্যান্ড-স্পেন দ্বৈরথ দেখতে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বসেছিল চাঁদের হাট। ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, ছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফানতিনো। ছিলেন ভারতের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফুল প্যাটেল। ছিলেন আরও অনেক ফুটবল তারকা, অন্য জগতের বিশিষ্টরা। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যবর্ধন রাঠোর, ফিফা প্রেসিডেন্ট, প্রফুল প্যাটেলরা। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন পুরস্কার খেলোয়াড়দের হাতে তুলে দেন তাঁরা।
তৃতীয় হওয়ার জন্য ব্রাজিলের অধিনায়কের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারের প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসাবে গোল্ডেন বুট পেলেন ইংল্যান্ডের ব্রিউস্টার। গোল্ডেন গ্লাভস পেলেন ব্রাজিলের গোলকিপার গ্যাব্রিয়েল ব্রাজাও। গোল্ডেন বল পেলেন ইংল্যান্ডের ফিল ফোডেন।
এদিন দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্পেনের ফুটবলারদের গলায় রুপোর মেডেল পরিয়ে দেন ফিফা প্রেসিডেন্ট। হারের দুঃখ আর কান্না ভেজা চোখে একের পর এক মেডেল গ্রহণ করে স্পেনের তালিকা সমাপ্ত হওয়ার পরই ডাক পরে ইংল্যান্ডের। নিমেষে বদলে যায় চেহারা। মেডেল গ্রহণের পর অপেক্ষা ছিল ট্রফি হাতে পাওয়ার। অধীর অপেক্ষার শেষ হল যখন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফানতিনো হাসি মুখে মস্করার মেজাজে কিশোরদের হাতে তুলে দিলেন কালো ট্রফিটা। তারপরটা শুধুই উল্লাস।
রাঙতা বৃষ্টির মাঝে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা যে যেমন খুশি নাচ, উল্লাসে মেতে ওঠে। আনন্দ তাদের বাধ মানেনা। হবেই বা কেন। চলতি বছরেই ইংল্যান্ডের ঘরে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি ঘরে তুলে দিয়েছে তাদের দাদারা। কোরিয়া থেকে সেই ট্রফি লন্ডনে যাওয়ার পর এবার অনূর্ধ্ব-১৭-র কিশোররাও দেশের জন্য ট্রফি নিয়ে বাড়ি ফিরবে। এই প্রথম ইংল্যান্ডের ঘরে যাবে এই ট্রফি। এই আনন্দ সেই বোঝে যার হাতে এই ট্রফি ওঠে। তবে কলকাতাও অনেক কিছু পেল। পেল বিশ্ব ফুটবলের ছোঁয়া। ফুটবলের মক্কার ফুটবল পাগল ইতিহাসে যুক্ত হল আরও একটি পালক।