ফাইনাল যখন কিছুক্ষণের অপেক্ষা তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই সব আলোটুকু শুষে নিচ্ছিল স্পেন-ইংল্যান্ড লড়াই। কিন্তু তার আগে যুবভারতীর মাঠেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করল বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা দল ব্রাজিল ও আফ্রিকার মালি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তো বলতেই হচ্ছে। কারণ ব্রাজিলের মত শক্তিশালী দলকে শুধু আটকে রাখাই নয়, পাল্টা আক্রমণে হলুদ ব্রিগেডের বুকে ভয়ও ঢুকিয়ে ছেড়েছে মালি। যার ফল হল প্রথমার্ধে অনেক লড়েও ব্রাজিলের শূন্য ঝুলি। তবে নিরাশ করেনি ব্রাজিল। কলকাতার ব্রাজিল প্রেমকে শেষ ম্যাচে বিফল হতে দেয়নি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে কৌশল বদল অনেকটা কাজে লাগে। ৫৫ মিনিটের মাথায় মালির গোলে বল জড়িয়ে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন অ্যালেন। প্রায় খেলার শেষ পর্যন্ত ওই ১-০ ব্যবধানই বজায় ছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে মালির উঠেপড়ে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা ব্রাজিলের জন্য আরও একটা গোলের সুযোগ করে দেয়। ৮৮ মিনিটে আলবাতরওর গোলে ২-০-তে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। নিশ্চিত করে ফেলে তৃতীয় স্থান। ফাইনাল হুইসল বাজতেই তাই ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা আনন্দে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। বিশ্বকাপের যে কোনও আসরই হোক না কেন, সেখানে তৃতীয় স্থানও কিন্তু কম কথা নয়।