প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এদিন কলম্বিয়ার সঙ্গে ম্যাচ জেতাটা আবশ্যিক ছিল। ভারতের জন্য এটা ছিল ডু অর ডাই ম্যাচ। সেই ম্যাচে কলম্বিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে গেল ভারত। পরপর ২ ম্যাচে হারের পর গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ নিছক নিয়মরক্ষার লড়াই হয়ে রয়ে গেল ভারতের জন্য।
এদিন প্রথমার্ধে নবি মুম্বইয়ের সবুজ গালিচায় শক্তিশালী কলম্বিয়ার সঙ্গে টক্করটা ভালই জমেছিল। প্রথমার্ধের খেলার শেষে ফলাফল ছিল ০-০। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই কলম্বিয়া চেপে ধরে। ৪৯ মিনিটের মাথায় ভারতের জালে বল জড়িয়ে দেন কলম্বিয়ার পেনালোজা। শুরু হয় ভারতের গোল শোধের লড়াই। এককভাবে ভারতীয় কয়েকজন মিডফিল্ডার বা ফরওয়ার্ড নজর কাড়লেও ধারাবাহিকতা বা টিম গেম কিন্তু কোনও সময়েই খুঁজে পাওয়া যায়নি ভারতের খেলায়। খেলার ৮২ মিনিটের মাথার কর্নার থেকে দেওয়া চিপে মাপা হেড করেন ভারতের থাউনাওজ্যাম। বল কলম্বিয়ার জালে জড়াতে সময় নেয়নি। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের হয়ে প্রথম গোল। অবশ্যই ঐতিহাসিক মুহুর্ত। চলে সেলিব্রেশন। কিন্তু ফুটবল খেলাটা এখন অন্য পর্যায়ে পৌঁছেছে। তারওপর বিশ্বকাপে খেলার জন্য যে ধরণের মানসিক প্রস্তুতি থাকা দরকার তা ভারতের নেই। তা যে নেই সেটা এদিন পরিস্কার করে দিল ভারতীয় খেলোয়াড়েরাই। গোল শোধের আনন্দ মাঠেই উপভোগ করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলল মনঃসংযোগ আর সেই ফাঁকেই মাত্র ১ মিনিটের মাথায় কোনও বাধা ছাড়াই বল পায়ে একা ভারতীয় গোলমুখে পৌঁছে গেল কলম্বিয়ার পেনালোজা। তারপর যা হওয়ার তাই হয়েছে। ৮৩ মিনিটের মাথায় ফের ১ গোলে এগিয়ে যায় কলম্বিয়া।
ভারতীয় খেলোয়াড়েরা বুঝতেই পারল না কী অসাধারণ পেশাদারিত্বে তাদের হাতের তলা দিয়ে ম্যাচ বার করে নিয়ে গেল কলম্বিয়ার কিশোররা। ম্যাচ শেষ হয় ২-১-এ। যা ভারতের স্বপ্নে শেষ পেরেকটা পুঁতে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। পরপর দুদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কলম্বিয়ার কাছে হারই শুধু নয়। ভারতের মাঠের মধ্যে বল প্লে, বোঝাপড়া সব বিভাগেই চরম দুর্বলতা বুঝিয়ে দিল এখনও ফুটবলের বিশ্বকাপ খেলার জন্য মোটেও তৈরি নয় ভারত। সে পর্যায়ে পৌঁছতে এখনও অনেক পরিশ্রম করতে হবে তাদের।