মেয়ের বাবাকে এক বিশেষ দাঁত দিতে পারলে তবেই হয় বিয়ে
কোনও নারীকে জীবনসঙ্গিনী করতে চাইলে তাঁর বাবা মায়ের কাছে আবেদন করেন যুবক। তবে এখানে এক বিশেষ দাঁতের ওপর নির্ভর করে বিয়ে।
বিয়ে করার জন্য কোনও নারীকে দেখে পছন্দ হতে পারে। প্রেমের সম্পর্কও থাকতে পারে। তবে বিয়ে করতে কোনও পুরুষকে জীবনসঙ্গিনী করতে চাওয়া নারীর পিতা মাতার কাছে বিয়ের আবেদন নিয়ে হাজির হতে হয়। এমনটা প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য অনেক সমাজেই দেখতে পাওয়া যায়।
মেয়ের বাবা মা পরখ করে নেন যে পুরুষ তাঁর মেয়েকে বিয়ে করতে চান তাঁর সেই সামর্থ্য আছে কিনা। মেয়েকে সুখে রাখবেন কিনা তিনি।
তবে একটি জায়গা রয়েছে যেখানে একজন পুরুষ যদি কোনও নারীকে বিয়ে করতে চান তাহলে তাঁকে তাঁর সামর্থ্য প্রদর্শন করতে একটি বিশেষ দাঁত এনে উপহার দিতে হয় তরুণীর বাবাকে। এমনটা তিনি করতে পারলে তরুণীর বাবাও মেনে নেন তাঁকে। এটাই এখানকার প্রচলিত প্রথা।
ফিজিতে এই প্রাচীন প্রথা চলে আসছে বহু বছর ধরে। এখানে স্পার্ম তিমি নামে বিশেষ প্রজাতির তিমির একটি দাঁত উপহার হিসাবে নিয়ে আসতে হয় যুবককে।
তারপর তা তুলে দিতে হয় তিনি যে নারীকে জীবনসঙ্গিনী করতে চান তাঁর বাবার হাতে। এই দাঁত হাতে পেলে কোনও বাবা তাঁর মেয়ে দিতে না করেননা ফিজিতে।
এই দাঁতকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় তাবুয়া। এই রীতি ফিজির প্রাচীন প্রথা। তবে এখন তিমি মাছের শিকার নিষিদ্ধ। ক্রমশ কমছে এই স্পার্ম তিমির সংখ্যা। ফলে তার দাঁত পাওয়া ইদানিং কঠিন হয়ে গিয়েছে। একটি দাঁত যদিও বা কেউ পান তো তার দাম আকাশছোঁয়া হয়।