শীতল সমুদ্রে বসবাসকারী জীবাণুদের মধ্যেই রয়েছে পৃথিবীকে সুস্থ রাখার জীয়নকাঠি
কনকনে ঠান্ডা জল। মাঝে মাঝে বরফের টুকরো ভেসে বেড়াচ্ছে। তেমনই ঠান্ডা জলের সমুদ্রে হাজারো জীবাণুর বাস। তাদের মধ্যেই খুশির জীয়নকাঠি খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা।
জীবাণু মানেই বোধহয় খারাপ নয়। অনেক সময় বিষে বিষে বিষক্ষয়ের প্রবাদ মেনে কিছু জীবাণু জীবাণুদেরই যম হয়ে ওঠে। ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক তেমন জীবাণুর খোঁজ পেয়েছেন।
এসব জীবাণুর অনেকগুলিই অচেনা। এমন অচেনা জীবাণু হাজারো রয়েছে কনকনে ঠান্ডা জলের সমুদ্রে। আর্কটিক সাগরের বরফ ভেসে বেড়ানো ঠান্ডা জলের গভীরে এমনই জীবাণুদের মধ্যে কার্যত জীয়নকাঠির খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
কি রয়েছে এই জীবাণুদের মধ্যে? গবেষকেরা মনে করছেন এদের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভাইরাস বিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী শক্তি। যা কার্যত মানবদেহে বাসা বাঁধা ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াকে সংহার করতে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।
গবেষকেরা এদের ক্ষমতা সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন। তবে এখনই এদের দিয়ে কোনও ওষুধ তৈরির অবস্থা তৈরি হয়নি। আপাতত চলছে এদের থেকে সব উপাদান বার করে সেগুলিকে আলাদা করার কাজ।
আলাদা করার পর দেখা হবে তাদের প্রকৃত ক্ষমতা। সেইমত গবেষণা এগিয়ে যাবে। যা আগামী দিনে মানুষকে নানা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া হানা থেকে মুক্তি দিতে পারবে বলে আশাবাদী গবেষকেরা।
আর্কটিক সাগরের বরফ ঠান্ডা জলে এই অচেনা জীবাণুদের খোঁজ মেলা এবং তাদের মানবসভ্যতার জন্য সৃজনশীল প্রভাব অবশ্যই ক্রমশ বাড়তে থাকা রোগের এই বিশ্বকে স্বস্তি দেওয়ার পথ খুলতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।