ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া এলাকা ঘুরে দেখার পর শুক্রবার ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার সঙ্গে আলোচনায় বসে তৃণমূলের পরিষদীয় দল। আলোচনার পর ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, কেন্দ্রের মদতে এই অঞ্চল অশান্ত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে শার্প শ্যুটার এনে এখানে অশান্তি পাকানো হয়েছে। জগদ্দল থেকেও গুণ্ডা আনা হয়েছে বলে দাবি করেন ফিরহাদ হাকিম। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র মজুত রয়েছে। বোমা তৈরির মশলাও প্রচুর জমা করা হয়েছে। তিনি বলেন এগুলি খুঁজে বার করে বাজেয়াপ্ত কারর জন্য পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করেছেন তাঁরা। ফিরহাদ হাকিম জানান তাঁকে পুলিশ কমিশনার আশ্বাস দিয়েছেন এলাকা মোটামুটি শান্ত করে ফেলেছেন তিনি। কিছু জায়গা এখনও ঠিক করা বাকি। সেখানেও শান্তি ফিরিয়ে আনবেন তিনি।
ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, তাঁরা গোটা এলাকা ঘুরে মানুষের ক্ষোভ শুনেছেন। তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকাকে শান্ত করছে রাজ্য সরকার। তিনি এদিন পুলিশকে যা বলার বলে গেলেন। ফের তিনি এক সপ্তাহ বাদে এখানে আসবেন। দেখবেন পরিস্থিতি বদলাল কিনা। এদিন ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, যাঁদের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে তাঁদের আর্থিক সাহায্য দেবে রাজ্য সরকার। যে ৪৬টি দোকান ভেঙে তছনছ করা হয়েছে তাদের ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া মৃতদের পরিবার পিছু একজনের চাকরির বন্দোবস্ত করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। যাঁরা মারা গেছেন গুলিতে তাঁদের সোমবার নবান্নে আনারও কথা জানান ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ হাকিম এদিন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এলাকায় অস্ত্র জমা করার জন্য অর্জুন সিংয়ের বাহিনী ও অর্জুন সিংকে গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। ফিরহাদ হাকিমরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানান, এলাকায় শান্তি ফেরানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া এখানে সংঘর্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪ জনের পরিবার পিছু আড়াই লক্ষ টাকা করে দেওয়ার হবে বলে জানিয়ে গেছেন মন্ত্রীরা। পরিবারের ১ জনকে চাকরিও দেওয়া হবে। আর যাতে এখানে এমন ঘটনা কখনও না ঘটে সেদিকে নজর রেখে সেইমত বন্দোবস্ত করার জন্য মন্ত্রীরা জানিয়েছেন বলেও জানান মনোজ বর্মা।