বিদেশে তরতরিয়ে বাড়ছে দেশিয় চালের চাহিদা
বিদেশে চাহিদা বেড়ে চলেছে দেশিয় কালা নমক চালের। চাহিদা মেটাতে একটি জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইটের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন কালা নমক চালের কৃষকরা।
কালা নমক চালের চাহিদা হুহু করে বাড়ছিল দেশে। ফলে সেই চাহিদা মেটাতে চাষের জমি বাড়াচ্ছিলেন কৃষকরা। তাতেও কুল করে উঠতে পারছিলেননা। এমন এক লাভজনক চাষে কৃষকরা যেমন একদিকে বুঝে উঠতে পারছেন না চাহিদা মেটাবেন কীভাবে, তেমনই তাঁদের মুখের হাসি চওড়া হয়েছে এই করোনা পরিস্থিতিতেও। কারণ অবশ্যই মুনাফার সোনালি হাতছানি। দেশে তো চাহিদা হুহু করে বাড়ছেই। এবার বিদেশেও এই চালের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগরের এই বিশেষ চাল নিয়ে বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে উৎসাহ বাড়ছে। সেখানকার মানুষও ওই চাল চাইছেন। ফলে পুষ্টিগুণে অতুলনীয় এই চালের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি এবার কৃষকরা সাংগঠনিকভাবে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট ফ্লিপকার্ট-এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
ফ্লিপকার্টের হাত ধরে সারা বিশ্বের যে কোনও মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই ফ্লিপকার্টের হাত ধরে সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছে কালা নমক চাল।
বাদামি চাল, লাল চাল, কালো চাল নানা রংয়ের চালে এখন বাজার ছেয়েছে। দামও যথেষ্ট। এসব চালের বাহারি রং রয়েছে বলেই যে মানুষ কিনছেন তা কিন্তু নয়। এসব চালের পুষ্টিগুণও অনেক। ফলে মানুষের চাহিদা বাড়ছে।
সনাতনি সাদা চালের উৎপাদনের ধারে কাছেও অবশ্য এসব চালের উৎপাদন নয়। তবে উৎপাদন বাড়ছে। তেমনই একটি চাল কালা নমক চাল। রং কালো, কিন্তু পুষ্টিগুণ ভাল। ফলে মানুষের চাহিদাও বাড়ছে।
গত মার্চ মাসে এই কালা নমক চালের গুণাগুণ কৃষক ও ক্রেতাদের মধ্যে বাড়াতে ৩ দিনের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। ফলে চালটি সম্বন্ধে আরও বেশি মানুষ জেনেছেন। তাঁরা এই চালটি কেনার বিষয়ে মনস্থিরও করেছেন। ফলে চাহিদা বেড়েছে। উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলায় এই চালটি সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়।
এতদিন অল্প পরিমাণে চাষ হত এই চালের। চালটির গুণাগুণ জানার পর এখন চাহিদা হুহু করে বাড়ছে। ২০১৯ সালে প্রায় ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে এই কালা নমক চাল চাষ হত। ২০২০ সালে বেড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে এই চালের চাষ হয়। ২০২১ সালে প্রবল চাহিদার কথা মাথায় রেখে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে কালা নমক চাল চাষ হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা