ছায়া দেখে গুলি চালানোর পরই বুঝলেন কী ভুলটাই না করেছেন
একটা ছায়া এসে পড়েছিল। হালকা ছায়াটা অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরে দেখা যাচ্ছিল। তা দেখেই গুলি চালান গৃহকর্তা। কিন্তু তারপরই বুঝলেন কী ভয়ানক ভুল তিনি করে ফেলেছেন।
ওয়াশিংটন : ছায়া দেখে গুলি চালানোর খেসারত দিলেন এক ব্যক্তি। চালালেন একটা গুলি। আর সেই গুলি কার্যত তাঁর শান্তির সংসার তছনছ করে দিল।
ঘটনাটি ঘটে গভীর রাতে। রাত তখন দেড়টা। গৃহকর্তা ঘুমিয়ে ছিলেন ঘরে। হঠাৎ ঘরের বাইরে একটা আওয়াজ পান। হাল্কা আওয়াজ। কিন্তু কেউ যে সেখানে রয়েছে তা পরিস্কার। এই আলোছায়া অবস্থায় শোওয়ার ঘরে উঠে বসেন তিনি।
আওয়াজটা শোনার চেষ্টা করেন। ঠিক শুনছেন তো! তিনি নিশ্চিত হন যে আওয়াজটা একেবারেই ঘরের বাইরে থেকে আসছে। তাহলে কী বাড়িতে চোর ঢুকল! অথবা অন্য কেউ ঢুকে পড়েছে তাঁর বাড়িতে!
ঝুঁকি না নিয়ে নিজের বন্দুকটা হাতে তুলে নেন তিনি। তারপর সন্তর্পণে ঘরের বাইরে আসেন। শোওয়ার ঘরের বাইরেটা রাতে আলো নেভানো থাকায় অনেকটাই অন্ধকার। একটা আলো আঁধারি পরিবেশ। তারমধ্যেই একটা ছায়া নড়তে দেখেন তিনি।
ছায়ামূর্তির মত কিছু নড়ছে! এ তো নির্ঘাত তাঁর বাড়িতে কেউ ঢুকে পড়েছে। আর সময় নষ্ট করেননি তিনি। ছায়া লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেন। অব্যর্থ নিশানায় গুলি গিয়ে লাগে। কিন্তু সেই গুলি খেয়ে যে আওয়াজটা বেরিয়ে আসে তা তাঁর অতি পরিচিত কণ্ঠ। তাঁর স্ত্রীর গলা।
ছুট্টে যান তিনি। দেখেন তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়েছেন মেঝেতে। স্ত্রীকে ওভাবে পড়ে থাকতে দেখে কী করবেন তা স্থির করতে না পেরে পুলিশে ফোন করেন।
পুলিশ এসে ওই মহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করলেও তাঁর সন্তানকে বাঁচাতে সক্ষম হন চিকিৎসকেরা। যদিও ৬ মাসের শিশুটিকে নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা রয়েছে।
গুলি যখন চলে তখন ওই ব্যক্তির ২ বছরের সন্তানও বাড়িতেই ছিল। তবে সে অক্ষতই আছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্টুয়ার্ট শহরে।
পুলিশও জানাচ্ছে এই ঘটনা একটা দুঃস্বপ্নের মত। তবে ওই ব্যক্তি যা বলছেন তা সব সত্যি কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।