মাটি খুঁড়তেই যা বার হল তা দেখে যে যেদিকে পারলেন ছুটলেন শ্রমিকরা
একটি কলেজ তৈরি করা হবে। যে জমিতে সেই কলেজ নির্মাণ হবে সেই জমিতে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল। তখনই এমন কিছু পাওয়া গেল যা দেখে ছুটলেন শ্রমিকরা।
একটি কলেজ তৈরি হবে। কাছেই বিমানবন্দর। তারই কাছে এক বিশাল জমিতে গড়ে উঠবে টেকনিক্যাল কলেজটি। তাই মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছিল। শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। মাটি খুঁড়তে গিয়ে এক সময় তাঁরা থমকে যান। মাটির তলা থেকে বেরিয়ে আসে একটি বস্তু।
প্রাথমিকভাবে বুঝতে না পারলেও পরে তাঁরা সেখান থেকে চম্পট দেন। খবর যায় প্রশাসনে। বস্তুটি দেখার পর আর ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত খালি করে দেওয়া হয় চারধার। আধ মাইল এলাকা ফাঁকা করে ঘিরে দেওয়া হয় যাতে কেউ তার মধ্যে ঢুকতে না পারেন।
খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন শহরের শেরিফ। তিনি সকলকে জানান যেটি পাওয়া গিয়েছে তা মাটিতে মাখামাখি হয়ে থাকা একটি বোমা। ১ হাজার পাউন্ডের ওই বোমা ফাটলে কি হতে পারে তা অনুমেয়।
তাই সকলকে সরিয়ে সেখানে বিমানবাহিনীর বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়। তাঁরাই ওই বোমাটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেন। বোমাটি পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে সেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের বোমা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওই চত্বর সেনাবাহিনী দখল করেছিল। সেখানে যুদ্ধবিমান ওঠানামার অনুশীলনও হত। পরে অবশ্য তা বিমানবন্দর হয়ে যায়।
ফ্লোরিডা বিমানবন্দরের কাছেই মাটির তলা থেকে এমন এক বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদমাধ্যমে খবর হতে সময় নেয়নি এই ঘটনা।