গোটা দ্বীপে ফুর্তির ঘনঘটা, মাত্র ১ হাজারেই কিনে ফেলার সুযোগ
একটা দ্বীপ বিখ্যাত কেবল সেখানে মানুষের ফুর্তি জন্য। এ দ্বীপে ছড়িয়ে থাকে বিয়ারের ক্যান। সেই দ্বীপেই এবার জলের দরে অংশীদারির হাতছানি।
জলরে দর বললেও কম বলা হয়। একটা দ্বীপের অংশীদারি পেতে খরচ করতে হচ্ছে মাত্র হাজারটি মুদ্রা। তাতেই একটা সবুজ ঘেরা সাদা বালির দ্বীপের অংশীদারি হাতের মুঠোয়।
এ দ্বীপটি তৈরিই হয়েছিল ১৯৪০ সালে। ড্রেজিংয়ের সময় এই দ্বীপটি জন্ম নেয় সমুদ্রের বুকে। মূল স্থলভাগ থেকে নৌকায় কিছুটা গেলেই পৌঁছনো যায় এই দ্বীপে।
যেখানে সবুজ পাইন গাছের জঙ্গলের সামনে সমুদ্রের চুম্বনে ভিজে থাকে সাদা বালির চর। এই দ্বীপটি আদপে ব্যবহার হয় পার্টি করার জন্য। সমুদ্রের ধারে দেদার আনন্দ।
ফলে এ দ্বীপে বিয়ারের ক্যান ছড়িয়ে থাকে যেখানে সেখানে। গুনে শেষ করার নয়। ২০১৭ সালে এই দ্বীপটি কয়েকজন বন্ধু মিলে কেনেন। তারপর দ্বীপটি পরিস্কার করতে গিয়ে তাঁরা প্রায় ৪০০ ব্যাগ এসব ক্যান, মদ্যপানের নানা ফেলে ছড়িয়ে যাওয়া বোতল এবং অন্যান্য আবর্জনা উদ্ধার করেন।
তাঁরা দ্বীপটি সাজিয়ে ভালই চালাচ্ছিলেন। পার্টির জন্য ভাড়া দিয়ে বেশ ভালই চলছিল তাঁদের। কিন্তু এই দ্বীপকে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখে এখানে ব্যবসা চালাতে গেলে তাঁরা বাড়ি থেকে ভোরে বার হচ্ছিলেন।
জল পার করে দ্বীপে পৌঁছে সেখানে থেকে তারপর অনেক রাতে ফের বাড়ি ফিরছিলেন। যা তাঁদের পক্ষে প্রতিদিন সম্ভব হচ্ছেনা। তাই তাঁরা ওই দ্বীপটি বেচে দিতে চান।
এখন তাই পার্টি করাও বন্ধ করে দিয়েছেন। যিনি কিনতে চান তিনি দ্বীপের হাল ফিরিয়ে তাকে অন্য রূপ দিতে মোটামুটি খরচ মনে করছেন ৮৪ কোটি টাকা। এই টাকা তিনি অনেক মানুষের কাছ থেকে তুলতে চান।
সেভ বিয়ার ক্যান আইল্যান্ড নাম দিয়ে তিনি একটি লক্ষ্যে নেমেছেন। যেখানে যে কেউ চাইলে ওই দ্বীপের অংশীদারি কেবল ১ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ৮৪ হাজার টাকার বিনিময়ে পেতে পারেন।
এতে তিনি দ্বীপের বিষয়ে যে কোনও সিদ্ধান্তে অংশ নিতে পারবেন। প্রসঙ্গত ফ্লোরিডার ট্যাম্পা উপসাগরে রয়েছে ৯ একর জমির ওপর এই বিয়ার ক্যান দ্বীপ। যা পার্টি করার আদর্শ জায়গা।