ঘূর্ণিঝড় বয়ে আনল রহস্যময় চিঠি
ঘূর্ণিঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড হয়। তাই হয়েছিলও। তবে সেই ঘূর্ণিঝড়ই বয়ে নিয়ে এল একটি চিঠি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার চিঠি। চিঠিটি অবশ্য নতুন রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে সব তছনছ হয়ে গেছে। সমুদ্রের কাছে প্রচুর জঞ্জালের স্তূপ তৈরি হয়েছে। ডেবি-র তাণ্ডবে চারধার যেন ধ্বংসস্তূপ। তাই পরিস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। সেই জঞ্জালই এক জায়গায় জড়ো করছিলেন এক বছর ৪৬-এর মহিলা।
তখনই তাঁর নজর কাড়ে ঘূর্ণিঝড়ের বয়ে আনা একটি বোতল। সেটি কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে এসেছে তা বোঝার উপায় নেই। তবে ঝড়ে উড়েই যে তার এই আবির্ভাব তা স্পষ্ট।
যেটা ওই মহিলাকে সবচেয়ে বেশি কৌতূহলী করে তোলে তা হল বোতলটির ভিতরে থাকা বালির মধ্যে গোল করা একটি কাগজ। যার লেখা আবছা। তবে বোঝা যাচ্ছে।
ওই মহিলা বাকি জঞ্জাল এক জায়গায় জড়ো করে ওই বোতলটি জঞ্জাল থেকে তুলে নেন। তারপর তিনি এবং তাঁর স্বামী মিলে বোতলটি খোলেন। বোতলটি খোলার পর তাঁরা দেখেন কাগজে লেখা একটি চিঠি।
চিঠির অধিকাংশ অংশই এতটা আবছা যে পড়ার উপায় নেই। তবে এটা তাঁদের কাছে পরিস্কার হয় যে এটি ১৯৪৫ সালে লেখা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় মার্কিন নৌসেনা-র একটি প্রশিক্ষণ শিবির থেকে কেউ এটা লিখেছিলেন। কারণ চিঠির ওপরের লেটারহেড তাই বলছে।
কেউ এই চিঠি তাঁর বন্ধুর দেওয়া চিঠির উত্তরস্বরূপ লিখেছিলেন। যে কয়েকটি কথা পড়া যায় তা থেকেই এটা পরিস্কার হয় দম্পতির। তবে এ চিঠি এক রহস্যেরও জন্ম দিয়েছে।
দম্পতি বুঝতে পারছেন না চিঠিটি বোতলে ভরা কেন? যদি এটা বোতলে ভরে সমুদ্রে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল, তাহলে বোতলের মধ্যে বালি ভরা হবে কেন? তার মানে তা সমুদ্রে ফেলা হয়নি।
তাহলে বোতলে বালি ভরে তার মধ্যে চিঠি কেন? এর উত্তর অবশ্য মেলেনি। ফ্লোরিডা তছনছ করা ঘূর্ণিঝড় ডেবি চলে যাওয়ার পর জঞ্জাল পরিস্কার করতে গিয়ে সমুদ্রের ধারে পাওয়া এই বোতলের কথা নানা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।