নর্দমায় ঘুরছে কুমির, সাপ, ইঁদুর সহ ৩৫ রকম প্রাণি, বিশ্বাস হচ্ছেনা বিজ্ঞানীদেরও
নর্দমা দিয়ে শহরের নোংরা জল বাহিত হয়। সেই নর্দমায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে ৩৫ রকমের প্রাণি। সুখের সংসার তাদের। নিজের চোখকেও বিশ্বাস হচ্ছেনা অনেকের।

শহরের নর্দমা সে শহরের দূষিত, নোংরা জলকে বহন করে নিয়ে যায়। সেই নর্দমায় ইঁদুর বা ছোটখাটো কীটপতঙ্গের বাস হয় সেকথা অনেকেরই জানা। কিন্তু নর্দমায় কুমির ঘুরলে তা তো নজর কাড়বেই।
শহরের নর্দমায় কত প্রাণির বাস? কী ধরনের প্রাণি সেখানে বসবাস করছে? এসব জানতে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ফ্লোরিডার গেইনজভিল শহরের নর্দমায় সারি দিয়ে ক্যামেরা লাগিয়ে দেন।
সেই ক্যামেরা দিয়ে তাঁরা সারাক্ষণ নজর রাখেন মাটির তলার নর্দমায় থাকা প্রাণিদের ওপর। ৬০ দিনের মত নজরদারি চালানোর পর তাঁদের যা অভিজ্ঞতা হয় তা তাঁরা নিজেরাও বিশ্বাস করতে পারছেন না।
বিজ্ঞানীরা দেখেন নর্দমায় দিব্যি বসবাস করছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে কুমির থেকে ব্যাঙ, ব়্যাকুন থেকে সাপ, ইঁদুর থেকে আর্মাডিলো এবং এমন নানা প্রাণি। একটা ব়্যাকুন তো কয়েকটি ক্যামেরায় আঁচড়ও কাটে। সব মিলিয়ে ৩৫ রকম প্রাণির দেখা তাঁরা নর্দমায় পেয়েছেন।
একটা শহরের নর্দমায় যে এত প্রাণির বসবাস হতে পারে তা তাঁরা ভাবতেও পারেননি। এই নর্দমার জল গিয়ে যে পুকুরে পড়ছে সেখান থেকে কুমিররা এই নর্দমায় হাজির হচ্ছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ নর্দমার জলে ভেসে পুকুর থেকে মাছরাও চলে আসে।
সেগুলো খেতেই কুমিরদের এই নর্দমায় এত যাতায়াত। সব মিলিয়ে ৫০টির মত কুমিরের দেখা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। একটা শহরের নর্দমায় এত কুমির যে থাকতে পারে তা এখনও অবাক করছে গবেষকদের। ক্যামেরা না লাগালে শহরের নিচে কি হচ্ছে তা জানতেও পারতেন না কেউ।