এক ঐতিহাসিক রহস্য, শহর জুড়ে নেচে উঠলেন বহু মানুষ
একটা শহরে একে একে সবাই নাচতে শুরু করলেন। তারপর সংখ্যাটা বাড়তেই থাকল। ইতিহাসে এ এক অজানা রহস্য হয়ে রয়ে গেছে। কেন নাচ তার কিনারা হয়নি।
এক মহিলাকে দিয়ে শুরু। শহরের মানুষ দেখেন এক মহিলা রাস্তায় নেমে নাচতে শুরু করলেন। তারপর নাচতেই থাকলেন। থামার নাম নেই। কেউ বললেও শুনছেন না। নেচেই চলেছেন। এভাবে নাচতে নাচতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে গেলেন। তারপর ফের উঠে নাচতে থাকলেন।
এটা একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছিলনা। ওই মহিলাকে দেখে আরও কয়েকজন রাস্তায় নেমে নাচতে শুরু করলেন। আর নাচতেই থাকলেন। একাধিক দিন ধরে চলল নাচ। নাচতে নাচতে একসময় কেউ পড়ে যাচ্ছেন। আবার উঠে নাচছেন।
এভাবে নাচতে নাচতে একসময় অতিরিক্ত পরিশ্রমে মানুষের জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নাচ থামছে না। এমনভাবে শহরের প্রায় ৪০০ জন বাসিন্দা নাচতে থাকেন। এই নাচের রোগ চলতে থাকে।
জুলাই মাসে যে নাচের সূত্রপাত তা আবার সেপ্টেম্বরে থেমেও যায় একদিন। সকলে শান্ত হন। শহরে নাচ বন্ধ হয়। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৫১৮ সালে স্ট্রাসবার্গ নামে একটি শহরে। যা এখন ফ্রান্সের অন্তর্গত। সেখানে কেন যে ২ মাস ধরে এই নাচের রোগ পেয়ে বসেছিল মানুষকে তা আজও এক রহস্যই রয়ে গেছে।
অনেকেই এর কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছেন। কেউ বলেছেন, অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে এমনটা শুরু হয়েছিল। কারও মতে কোনও খাবারে বিষক্রিয়া থেকে এভাবে নাচতেই থাকছিলেন মানুষ।
এমন আরও নানা কারণ সামনে আনা হয়। তবে সবই ছিল অনুমান। সঠিক কারণ কখনওই জানা যায়নি। এই ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে ‘ডান্সিং প্লেগ ১৫১৮’ নামে পরিচিত। যা আজও এক রহস্যই রয়ে গেছে।