শেষবার হয়েছিল ২০০৬ সালে। ১৩ বছর পর আবার ফিরল সেই রাত। যে রাতের আকাশে থাকবে পূর্ণিমার চাঁদ। আর ক্যালেন্ডার বলছে আজ ১৩ তারিখ এবং শুক্রবার। ফ্রাইডে দ্যা থারটিনথ! পূর্ণিমার রাত, শুক্রবার এবং ১৩ তারিখের ত্র্যহস্পর্শ নিয়ে নানা কাহিনি বুনোট বেঁধেছে। সব কাহিনিতেই লুকিয়ে থাকে এক অজানা আতঙ্ক। একটা কুসংস্কার। তবু মানুষ এই যুগেও ফ্রাইডে দ্যা থারটিনথকে অন্য চোখে দেখে। পূর্ণিমার রাত, শুক্রবার এবং ১৩ তারিখ এই ৩টি বিষয় ফের একসঙ্গে হবে এদিনর পর ২০৩৩ সালের মে মাসে। তার আগে আজকের দিনটা নিয়ে অনেকেই তটস্থ।
ফ্রাইডে দ্যা থারটিনথ কিন্তু প্রতি বছরই কোনও না কোনও মাসে পড়ে। যে মাসে পড়ে সেই মাসের শুরু হয় রবিবার দিয়ে। আর সেই ১৩ তারিখে অনেকেই বেড়াতে যাওয়া, কোনও ভাল কাজ করা, কোনও বড় কিছু কেনা যেমন গাড়ি, বাড়ি, দামি গয়না থেকে নিজেকে বিরত রাখেন, হোটেলের ১৩ নম্বর ঘর নেননা। এমনকি বিয়ের দিন পড়লে ওদিন বিয়ে করতে অনেকেই রাজি হননা। এমনিতেই ১৩ নম্বরটা নিয়ে মানুষের যথেষ্ট আপত্তি থাকে।
বহুতলের ১৩ নম্বর ফ্লোর বড় একটা হয়না। সে জায়গায় ওই ফ্লোরের নম্বর হয় ১২ বি বা একেবারেই ১৩ নম্বরটা বাদ দিয়ে যাওয়া হয়। ১৩ তারিখ মানেই আনলাকি। ভাগ্য ওই দিন নাকি সহায় হয়না। এটাই অনেক মানুষের বিশ্বাস। তার সঙ্গে যদি ১৩ তারিখ শুক্রবার পড়ে তাহলে তা হয়ে দাঁড়ায় ফ্রাইডে দ্যা থারটিনথ।
একাংশের চিন্তাবিদ মনে করেন ফ্রাইডে দ্যা থারটিনথ এসেছে খ্রিস্টধর্মের শুরুর দিকে। প্রভু যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয় শুক্রবার। আর যে যিশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে সেই জুডাস ছিল সেই ব্যক্তি যে লাস্ট সাপার-এ ১৩ তম অতিথি হয়ে হাজির হয়েছিল। এই ২ মিলেই তৈরি হয়েছে ফ্রাইডে দ্যা থারটিনথ-এর মিথ। তার সঙ্গে এদিন আবার পূর্ণিমার গোল চাঁদ আকাশ আলো করে থাকবে। চাঁদনি রাতের এই ফ্রাইডে দ্যা থারটিনথ তাই এখন অনেকের কাছেই আতঙ্কের। ওটা কাটলে বাঁচা যায়। এমনই মনে মনে বলছেন অনেকে।