বমি করার হলে নিজের পাকস্থলীটাই শরীরে থেকে বার করে আনে এই প্রাণি
কিছু খারাপ খাবার খেয়ে ফেললে তা শরীর থেকে বমি হয়ে বেরিয়ে আসে। এটা সব প্রাণির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিন্তু একটি প্রাণি বার করে আনে পুরো পাকস্থলীটা।
বমি করে পাকস্থলীতে প্রবেশ করা বিষাক্ত খাবার উগরে বার করে দেওয়া সব প্রাণির স্বাভাবিক প্রবণতা। যা মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু এই জীবজগতে তো ব্যতিক্রমের অন্ত নেই।
তেমনই ব্যতিক্রম হিসাবে এমনও একটি প্রাণি রয়েছে যারা বমি করতে পারেনা। কিন্তু মাঝেমধ্যেই বিষাক্ত খাবার খেয়ে ফেলে। অজান্তে খাওয়া সেই খাবার পেটে গিয়ে তার বিষক্রিয়া শুরু করে।
বিষক্রিয়ায় পেটে যন্ত্রণা বা অস্বস্তি শুরু হয়। কিন্তু তারা বমি করে পাকস্থলী পরিস্কার করতে পারেনা। তখন তারা এক অদ্ভুত পদক্ষেপের আশ্রয় নেয়। পেট থেকে নিজের পাকস্থলীটাই বাইরে বার করে আনে তারা।
শরীরের ভিতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে এভাবে বাইরে বার করা দুঃসাধ্য কাজ। কিন্তু ব্যাঙ তা অনায়াসে পারে। তাতে তাদের কোনও ক্ষতিও হয়না।
ব্যাঙ বমি করতে পারেনা বলে নিজের পাকস্থলীটা শরীর থেকে বার করে এনে এবার বাইরে পাকস্থলীতে জমে থাকা সবকিছু ফেলে দেয়। তারপর ফাঁকা করা পাকস্থলীটা ফের শরীরের মধ্যে ঢুকিয়ে নেয়।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে তাদের অতি সামান্য সময় লাগে। এত দ্রুত তারা পুরো কাজটা সম্পূর্ণ করে যে তা হয় বিদ্যুতের গতিতে।
আর এভাবেই ব্যাঙ পাকস্থলী থেকে বিষাক্ত খাবার বাইরে বার করে দেয়। বমি না করতে পারলেও পাকস্থলী বার করার পদ্ধতি একটি পূর্ণ বয়স্ক ব্যাঙ রপ্ত করে নেয়।