এই যুগেও সিনেমার টিকিট ব্ল্যাক, এ সিনেমা ফেরাল হলের বাইরে টিকিট ব্ল্যাকের স্মৃতি
একটা সময় ছিল যখন সিনেমা জনপ্রিয় হলে বিভিন্ন হলের বাইরে টিকিট ব্ল্যাক হত। যা এখন কাহিনি। কিন্তু সেই কাহিনি একটি সিনেমার হাত ধরে ফিরল বাস্তবে।
টিকিট ব্ল্যাক শব্দটা নতুন প্রজন্ম শুনে থাকতে পারে, কিন্তু সেটা কেমন হত তা দেখেনি। কারণ আশি বা নব্বইয়ের দশকেও বিভিন্ন হলের বাইরে টিকিট ব্ল্যাক হওয়ার যে ছবি নজর কাড়ত তা তারপর থেকে কার্যত উধাও হয়ে গেছে। হলের বাইরে টিকিট ব্ল্যাক এখন লোক মুখের কাহিনিতে পরিণত হয়েছে।
হল হাউসফুল হলেও বাইরে কিছু মানুষ আগে থেকে কিনে রাখা টিকিট অতিরিক্ত দামে বিক্রি করত। সিনেমা দেখার তাগিদে সেই টিকিট দরদস্তুর করে বেশি দাম দিয়েই কিনতেন মানুষজন। আবার এভাবে বেআইনিভাবে টিকিট বিক্রির অভিযোগে পুলিশও এসব টিকিট ব্ল্যাকারদের মাঝে মাঝেই ধরে নিয়ে যেত।
সেই দৃশ্য এখন আর হলে দেখা যায়না। কিন্তু সেই পুরনো টিকিট ব্ল্যাকের স্মৃতি ফিরিয়ে দিল সানি দেওল ও আমিশা প্যাটেল অভিনীত ‘গদর ২: দ্যা কথা কন্টিনিউজ’।
মুক্তির পর মাত্র ৪ দিনে ২০০ কোটির ওপর রোজগার করা গদর ২ এতটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে যে বিভিন্ন হলে লম্বা লাইন দেখা গেছে। হাউসফুল বোর্ড ঝুলতে দেখা গেছে বিভিন্ন হলের কাউন্টারে।
এমনকি দিল্লির চাঁদনি চক-এর একটি হল হাউসফুল থাকায় হলের বাইরে এক প্রৌঢ়কে টিকিট ব্ল্যাক করতেও দেখা গেছে। সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, এ তাঁর পুরনো স্মৃতি। এখন তো হলে সিনেমা তেমন চলেনা। সিনেমা দেখার জন্য উন্মাদনাও কম। নানা মাধ্যমে সিনেমা প্রকাশিত হচ্ছে। ঘরে বসেও সিনেমা দেখা হয়ে যাচ্ছে। সিনেমা হলে হাউসফুল বোর্ড প্রায় দেখাই যায়না।
তবে গদর ২ সেই পুরনো হাউসফুল ফিরিয়ে দিয়েছে। তাই তিনিও টিকিট ব্ল্যাক করতে নেমে পড়েছেন। যদিও বলাই বাহুল্য যে টিকিট ব্ল্যাক নেহাতই বেআইনি একটি কাজ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা