তুঙ্গে উন্মাদনা, সিনেমা দেখতে ট্রাকে চেপেও হলে হাজির হচ্ছেন মানুষ
সিনেমা দেখার উন্মাদনা যে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে তা ধারনা করাও মুশকিল। মানুষ ট্রাকে চেপেও সিনেমা দেখতে হাজির হচ্ছেন সিনেমা হলে।
হলে গিয়ে সিনেমা দেখার উন্মাদনা যা গত দশকের শেষ পর্যন্তও নজর কেড়েছে তা এখন আর সেভাবে দেখা যায়না। মাল্টিপ্লেক্সে সপ্তাহান্তে কিছু মানুষের ভিড় জমে। অন্যদিকে সিনেমা হল কমে এসেছে। একটা সিনেমা দেখার জন্য মানুষ দূর দূর থেকে ট্রাকে চেপেও হাজির হচ্ছেন এমনটা ৮০ বা ৯০-এর দশকে দেখা গেলেও এখন সেসব ইতিহাস।
তবে সেই ইতিহাসের পাতা থেকে ফের বাস্তবের মাটিতে নেমে এল পুরনো উন্মাদনা। সানি দেওলের ‘গদর ২’ দেখতে জয়পুরের বেশ কয়েকটি হলে অনেক মানুষকে দেখা গেল দূর দূর থেকে ট্রাকে চেপে সকলে হাজির হয়েছেন। অনেকে গ্রামাঞ্চল থেকে ট্র্যাক্টর চেপে হাজির হয়েছেন হলে।
হল এদিকে হাউসফুল। টিকিট পাওয়া নিয়ে হাহাকার চলছে। এমন দৃশ্যের যে এই ২০২৩-এ এসে ফের দেখা মিলবে তা বিশ্বাস করতে পারছেন না সিনেমা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। খুশিতে ডগমগ ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটররাও।
জয়পুরের যে কটি সিনেমা হলে গদর ২ চলছে সে সব সিনেমা হলেই মানুষের উপচে পড়া ভিড়, টিকিটের জন্য কাড়াকাড়ি চলছে। সেই সঙ্গে আবার ‘ওএমজি ২’ এবং ‘রকি রানি’ ভাল দর্শক টানছে।
হল পরিপূর্ণ থাকার ছবি যেভাবে এই সিনেমাগুলি টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাতে বেজায় খুশি হল মালিকরাও। হাউসফুলের খরা যে কেটেছে তাতে তাঁরা খুবই আনন্দিত। ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটরদের চোখে এটা বিনোদন শিল্পের সেরা সময় চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা