৪০০ বছর আগে বাড়িতে তৈরি টেলিস্কোপে মহাকাশে ৪টি বিন্দু দেখেছিলেন গ্যালিলিও
প্রথমে তিনি দেখেছিলেন ৩টি বিন্দু। বিন্দুর মত ৩টি আলো। তার ৪ দিন পর আরও একটি আলোকবিন্দু দেখলেন তাদের কাছে। পৃথিবী জানল মহাকাশের অজানা কথা।
গ্যালিলিও গ্যালিলি-র নাম তো সকলের জানা। তিনি সন্ধে নামলে আকাশ দেখতেন। দেখতেন নিজের তৈরি টেলিস্কোপে চোখ রেখে। বাড়িতেই তৈরি করেছিলেন শক্তিশালী টেলিস্কোপ। সময়টা ১৬১০ সাল। ইতালিয় এই জ্যোতির্বিজ্ঞানী আকাশে ৩টি বিন্দু দেখতে পান।
সেটা ছিল জানুয়ারি মাস। প্রথমে গ্যালিলিও ভেবেছিলেন ওই ছোট্ট বিন্দুগুলি নিশ্চয়ই নক্ষত্র। কিন্তু তার পরদিন তিনি লক্ষ্য করেন যে সেগুলি নড়ছে। নিজেদের স্থান পরিবর্তন করছে। আর তা করছে বৃহস্পতিগ্রহের আশপাশে।
গ্যালিলিও ভাল করে নজর করতে থাকেন। ৪ দিন পর তিনি আরও ১টি বিন্দু দেখতে পান। সেটাও তার স্থান পরিবর্তন করছে। তাদের এই অচেনা গমন ভাল করে নজর করতে থাকেন গ্যালিলিও। তারপর ঘোষণা করেন সেই কথা।
গ্যালিলিও বিশ্বকে জানান তিনি বৃহস্পতিগ্রহের ৪টি উপগ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। যা আজও বিজ্ঞানীদের কাছে প্রাসঙ্গিক। কারণ বৃহস্পতির অনেক উপগ্রহ থাকলেও এখনও ৪টি উপগ্রহ নিয়েই যাবতীয় গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
গ্যালিলিও বৃহস্পতির ৪টি উপগ্রহের দেখা পাওয়ার পর সেগুলিকে রোমান নম্বর ১, ২, ৩ ও ৪ দিয়ে বোঝাতে শুরু করেন। এর ৪ বছর পর ১৬১৪ সালে জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী যোহান কেপলার বৃহস্পতির ৪টি উপগ্রহের নামকরণ করেন।
এক্ষেত্রে ৪ পৌরাণিক চরিত্রকে বেছে নেন কেপলার। নামকরণ করেন আইয়ো, ইউরোপা, গ্যানিমিড এবং ক্যালিস্টো। গ্যালিলিও বৃহস্পতির ৪টি উপগ্রহ আবিষ্কারের ২৮২ বছর পর বৃহস্পতির পঞ্চম একটি উপগ্রহের দেখা পান আমেরিকার এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী।