গণেশ চতুর্থী। ধরা হয় গণেশের আরাধনা দিয়েই শুরু হয় পুজো কেন্দ্রিক উৎসবের মরশুম। এদিন গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে যথারীতি মুম্বই জুড়ে উৎসবের পরিবেশ। হৈচৈ আনন্দে গোটা মুম্বই এদিন মেতে উঠেছে। শুধু মুম্বই বলেই নয়, মহারাষ্ট্রে গণেশ পুজো কার্যত বাঙালির দুর্গাপুজোর মতই অন্যতম উৎসব। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পাড়া, সর্বত্রই গণেশ আরাধনা চলছে রীতি মেনে। সকাল থেকেই সর্বত্র সাজসাজ রব। গণেশ আরাধনায় মেতেছেন মুম্বই ফিল্ম ও টেলিভিশন জগতের সেলেব্রিটিরা। সকলের বাড়িতেই গণেশ পুজো। গণেশ পুজো হয় বিভিন্ন শিল্পপতির বাড়িতেও।
গণেশ পুজো আসলে ১০ দিনের উৎসব। যা শুরু হয় গণেশ চতুর্থী দিয়ে। ধরা হয় এদিনই গণেশের জন্ম হয়। ছত্রপতি শিবাজির হাত ধরেই মুম্বই সহ মহারাষ্ট্রে গণেশ পুজোর এত রমরমা। মুম্বইয়ের লালবাগচা রাজার পুজোয় বরাবরের মতই এদিন ভিড় ছিল তুঙ্গে। সকাল থেকেই সেখানে লাইন পড়েছে ভক্তদের। এবার এই পুজো ৮৫ বছরে পা দিল। সবচেয়ে বড় গণেশ মূর্তির জন্য এই সার্বজনীনের প্রসিদ্ধি আছে। এবার ৭০ কেজি সোনার অলঙ্কার ব্যবহার করে সকলকে চমকে দিয়েছে জিএসবি সেবামণ্ডলের পুজো। গণেশকে মুড়ে ফেলা হয়েছে ৭০ কেজি সোনার গয়নায়। এছাড়াও মুম্বইয়ের পাড়ায় পাড়ায় গণেশ পুজোর আয়োজন হয়েছে চিরাচরিত প্রথা মেনেই। পুজো দেখতে মানুষের ঢলও নামছে সকাল থেকেই।
মুম্বইয়ের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরেও এদিন সকাল থেকেই রীতি মেনে শুরু হয়েছে গণেশ পুজো। সিদ্ধা বিনায়ক মন্দির একটি গণেশ মন্দির। নিত্যপুজো হয় সেখানে। তবে এদিনের পুজোর গুরুত্বই আলাদা। নাগপুরের টেকড়ি গণেশ মন্দিরেও পুজো শুরু হয় সকাল থেকেই। সনাতনি প্রথা মেনে। এখানেও ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতন।
এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশে এক অতিকায় লাড্ডুকে ঘিরে হৈচৈ পড়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমও এই নিয়ে খবর করেছে। লাড্ডুটির ওজন ৫৮০ কেজি! তৈরি করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশেরই এক মিষ্টি প্রস্তুতকারক। হায়দরাবাদের কাছে খৈরতাবাদ গণেশ মণ্ডপে সেই লাড্ডু নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তা গণেশকে ভোগ দেওয়া হয়।
একইভাবে চমক দিয়েছে বেঙ্গালুরুর একটি গণেশ পুজো কমিটি। তারা তাদের গণেশ মূর্তিকে সাজিয়ে তুলেছে আখ দিয়ে। ৫ টন আখ দিয়ে তৈরি হয়েছে গণেশের মূর্তি। তারওপর রয়েছে প্লাস্টার অফ প্যারিসের আস্তরণ। তাদের লক্ষ্য ইকো ফ্রেন্ডলি মূর্তি তৈরি করা। আখের তৈরি মূর্তি দেখতে স্বভাবতই মানুষের ভিড় জমছে সেখানে।