National

এই গণেশ পুজোর প্যান্ডেলে ভক্তদের চিঠির পাহাড় সামলাতে হিমসিম খান উদ্যোক্তারা

হতে পারে এখন চিঠি লেখার দিন প্রায় শেষ। ডাকঘরে আর চিঠির পাহাড় জমে না। তবে এক গণেশ পুজোর প্যান্ডেলে চিঠির পাহাড় সামাল দিতে হিমসিম খান উদ্যোক্তারা।

এই ইমেল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কেউ আর কাউকে চিঠি লেখেন না। চিঠি বস্তুটি কার্যত এক ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। ডাকঘরগুলিতেও এখন চিঠি বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর কোনও তাড়া থাকেনা। চিঠি কোথায় যে পৌঁছবে! কিন্তু একটি গণেশ পুজো প্রতিবছর হয় যেখানে প্রতিবছরই ভক্তদের চিঠির পাহাড় সামাল দিতে কার্যত নাভিশ্বাস ওঠে উদ্যোক্তাদের। কিন্তু চিঠির পাহাড় উঁচু হতেই থাকে।

লখনউ শহরের ঝুলেলাল পার্কে আয়োজিত হয় ‘মন্নতো কে রাজা’ নামে এক গণেশ পুজো। এই গণেশ পুজোর বিশেষত্বই হল এখানে ভক্তদের চিঠি দেওয়ার হিড়িক।


মানুষের বিশ্বাস ‘মন্নতো কে রাজা’-কে যা মনের ইচ্ছা জানানো হয় চিঠি লিখে তা পূরণ হয়। তাই কেউ লেখেন তাঁর চাকরি হচ্ছেনা, কেউ লেখেন সঠিক জীবনসঙ্গী পাচ্ছেন না, কেউ লেখেন পরিজন কেউ অসুস্থ থাকলে তাঁর সুস্থতা, কেউ আবার অন্য কিছু। তবে মানুষের বিশ্বাস ‘মন্নতো কে রাজা’-কে চিঠি লিখে মনের কথা জানালে সেই ইচ্ছা এই গণেশ ঠাকুর পূরণ করেন।

তবে এই প্যান্ডেলে বাড়ি থেকে চিঠি লিখে এনে দিয়ে গেলে হবেনা। প্যান্ডেলেই রাখা থাকে পেন ও প্যাড। সেই প্যাডে প্রথমে ১০৮ বার লিখতে হয় ‘ওম গণ গণপতয়ে নমহঃ’। এটি ভগবান গণেশের প্রিয় মন্ত্র। এটি লেখার পর নিজের মনোবাঞ্ছা লিখে গণেশের কাছে রাখেন ভক্তরা।


এখানে আরও একটি পরম্পরা বর্তমান। এখানে গণেশ বিসর্জন হয় ঠিকই, তবে তা জলে নয় মাটিতে। মাটি খুঁড়ে সেখানে ঠাকুরকে বিসর্জন দেওয়া হয়।

সেই সময় গণেশের মূর্তির সঙ্গেই সেই হাজার হাজার চিঠি মাটির তলায় দিয়ে দেওয়া হয়। উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এখানে প্রতিবছর গণেশ পুজোর সময় এমন ৬০ থেকে ৬৫ হাজার চিঠি জমা পড়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button