হিন্দুধর্মের শুরুই তাঁর থেকে, কে তিনি
শিক্ষা, জ্ঞান, মেধা, প্রবল ইচ্ছাশক্তি, বুদ্ধি, সাহিত্য, কাব্যরস, কলা, স্থাপত্যশিল্প ও সম্পদের দেবতা। প্রসন্ন হলে সবই উপাসককে দান করেন অকাতরে।
গণেশজি হলেন এক মহাশক্তি ও সাফল্যের দেবতা। তিনি মানুষের জাগতিক ও পারমার্থিক পথের বাধা ও বিপত্তিনাশক। অহংকার, স্বার্থপরতা ও গর্ববোধের বিনাশক।
পার্বতীপুত্র শিক্ষা, জ্ঞান, মেধা, প্রবল ইচ্ছাশক্তি, বুদ্ধি, সাহিত্য, কাব্যরস, কলা, স্থাপত্যশিল্প ও সম্পদের দেবতাও বটে। আরাধনায় প্রসন্ন হলে গণেশ এসবই উপাসককে দান করেন অকাতরে।
পাঁচজন প্রধান দেবতার মধ্যে অন্যতম বলা হয় গণেশকে। অন্য চারজন হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর ও দুর্গা। এঁদের একত্রে পুজো করাকে পঞ্চায়তন পুজো বলে। বারাণসীতে এ পুজোর আজও যথেষ্ট প্রচলন আছে। প্রেমিক কবি গোস্বামী তুলসীদাস কাশীতে পঞ্চায়তন পুজো করতেন নিয়মিতভাবে।
জাতিগত বিভেদ থাকা সত্ত্বেও সমস্ত হিন্দু গণেশের পুজো করে, শ্রদ্ধাতেও কার্পণ্য নেই। মহাদেবপুত্র গণেশই হলেন হিন্দুধর্মের শুরু। সেই জন্যই তো তাঁকে আন্তরিকভাবে মান্য করে হিন্দুধর্মের সমস্ত সম্প্রদায়, মত, বিশ্বাস ও ভাবধারা।