এই কাজটি মনে মনে করলেই সর্বকার্যে সিদ্ধিলাভ হবে
তিনলোকে যখন যেখানে যে কোনও শুভ কাজ হবে, যেখানে যে দেবতারই পুজো হবে সবার আগে পুজো হবে গণেশর। স্মরণ করে কেউ কোনও কাজ করলে সফল হবে।
গণেশের মাথা হাতির মত হলেও তাঁকে স্মরণ করে কেউ কোনও কাজ করলে সফল হবে। শিবের এই আশির্বাদে আশ্বস্ত হলেন পার্বতী। সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মা, ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষ্মীদেবী। একে একে এগিয়ে এলেন সকলে। ব্রহ্মা আশির্বাদ করে বর দিলেন, যুগ যুগ ধরে মানুষের কল্যাণও করবেন গণেশ।
ভগবান বিষ্ণু বর দিলেন, এই বালক বিদ্যা ও বুদ্ধিদাতা হবে। প্রতি ঘরে মানুষ স্থাপন করবে গণেশকে, ভোগও দেবে। আশির্বাদ ও বরদানে দেবী লক্ষ্মীও কম গেলেন না।
জানালেন, তিনলোকে যখন যেখানে যে কোনও শুভ কাজ হবে, যেখানে যে দেবতারই পুজো হবে সবার আগে পুজো হবে গণেশর। তা না হলে শুভকাজ ও পুজোর উদ্দেশ্য হবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ও নিষ্ফল।
এ সময় দেবদেবীরা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করলেন দেবী লক্ষ্মীর প্রদত্ত বর ও সম্মতি দিলেন নির্বিচারে।
পুরাণের কথায়, শিব ও পার্বতীর প্রিয়পুত্র গণেশ সিদ্ধিদাতা। সমস্ত কর্মের প্রারম্ভে পুজো করা হয় গণেশের। গণেশজি মঙ্গল ও সিদ্ধির জনক বলে সমস্ত দেবতার আগে পূজিত হন।