‘গণপতি বাপ্পা’-র কথা। শিব ও পার্বতীর অনুচরদের বলা হয় গণ। গণেশের মুণ্ডু তো উড়ে গেল। কৈলাসে তো মারদাঙ্গা বাঁধে আর কী। ব়্যাফ নামার আগেই ভগবান শঙ্কর গণদের পাঠালেন মুণ্ডুর সন্ধানে।
মানুষের মাথা পাওয়া গেল না। তারা নিয়ে এল হাতির মাথা। তা-ই লাগানো হল গণেশজির কাঁধে। প্রাণ ফিরে পেলেন ভগবান বিষ্ণুর অন্তরমন্দাকিনীর করুণাধারায়।
এরপর গণেশজি হলেন গণদের কর্তা বা পতি। নাম হল গণপতি। এ সময়ই পার্বতী ও মহাদেবের বরে গণেশ গণের অধিপতি, বিঘ্নবিনাশক ও গণ্য হলেন সর্বসিদ্ধিদাতারূপে।
যাইহোক, শ্রীবিষ্ণুর অপার অনন্ত করুণায় প্রাণ ফিরে পেলেন গণেশ, তবে মাথা পেলেন হাতির। পুত্রের এমন রূপে চিন্তিত হলেন পার্বতী।
মহাদেবকে বললেন, এই রূপ দেখে দেহমানব সবাই অবহেলা করবে গণেশকে, উপহাস করে হাসবেও। তখন গণেশের কী হবে?
উত্তরে মহাদেব জানালেন, একই সঙ্গে বর দিলেন, সেসব কিছুই হবেনা। সকলের আদৃত, অতিবলশালী ও বুদ্ধিমান হবে গণেশ। অধিপতি হবে সমস্ত গণের। তিনি আরও বললেন, যে গণেশকে স্মরণ করে কাজ করবে তার কাজে সাফল্য আসবে।