বড় বড় কান, যা কোনও কথা শুনতে বাদ দেয় না। মর্তবাসী মানুষের সমস্ত অভাব অভিযোগ ও আর্তি বেশি করে শোনার জন্য। জপমালা, জ্ঞান আহরণ সমানে চলতে থাকে।
নিচের বাঁ হাতে লাড্ডু হল আত্মার মধ্যে নিহিত যে চিরন্তন সত্যরূপ মিষ্টতা তথা আনন্দ, তাকে আবিষ্কার করার প্রয়াস। সাধনার ফল আনন্দ। কোমরে সাপ মহাজাগতিক শক্তি কুলকুণ্ডলিনী তথা জ্ঞানের অনন্ত বিস্তারের প্রতীক।
ছোট মুখ সংযত বাক ও ছোট চোখ একাগ্রতার প্রতীক। গণেশজির হাতের অঙ্কুশ বিশ্বসংসার পরিচালনার প্রতীক। গণেশের প্রসাদ হল প্রসন্নতা, যে প্রসন্নতা পৃথিবী জুড়ে। ভগবান প্রসন্ন হলে মানুষের জীবন হয়ে উঠবে আনন্দময়।
সমস্ত দিক থেকে বিশাল হওয়া সত্ত্বেও গণেশজি বাহন করেছেন ইঁদুরকে। সীমাহীন ও উদার অন্তরের প্রতীক ইঁদুর। ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম অবহেলিত জীবকে স্থান দিয়েছেন বাহনের। বাহক ইঁদুর হল কীভাবে ছোট ছোট বিষয়কে একজন জ্ঞানী গুরুত্ব দেয় তার ধারক।
একটি দাঁত ভালকে বজায় রেখে অশুভকে দূরে ফেলার প্রতীক। লম্বোদর হল সমস্ত জগতের ওখানেই স্থিতি। সহ্যক্ষমতা, ধীরে ধীরে শান্তিপূর্ণভাবে ভালোমন্দকে গ্রহণ করার প্রতীক।
একটি আশীর্বাদী হাত পরমাত্মার কাছে পৌঁছনোর জন্য আধ্যাত্মপথকে রক্ষা করার প্রতীক। দুটি পায়ের একটি সিদ্ধি তথা সাফল্যের, আর একটি বুদ্ধির।