আরটি-পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ, করোনামুক্ত গঙ্গা
করোনামুক্ত বলে ঘোষণা করা হল গঙ্গাকে। গঙ্গার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। যদিও দেশের আর এক গুরুত্বপূর্ণ নদী করোনা পজিটিভ বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
লখনউয়ের ধার দিয়ে বয়ে গেছে উত্তর ভারতের অন্যতম প্রধান নদী গোমতী। গোমতী নদীর জল নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল। আর তাতে দেখা যায় গোমতীর জলে রয়েছে করোনার অস্তিত্ব। ফলে গোমতী করোনা সংক্রমিত বলে জানা যায়।
গোমতী নদী করোনা সংক্রমিত জানার পর গঙ্গাজল সংগ্রহ করে করে তারও আরটি-পিসিআর পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট সামনে এসেছে।
রিপোর্ট অবশ্যই স্বস্তির। কারণ রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ ধরা পড়েছে। অর্থাৎ গঙ্গার জলে কোভিড-১৯ ভাইরাস নেই। যা কার্যত দেশের অন্যতম পবিত্র নদীকে করোনামুক্ত ছাড়পত্র দিল।
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল ও জেনেটিক বিশেষজ্ঞরা গত ২ মাস ধরে গঙ্গার ওপর নানা পরীক্ষা চালিয়েছেন। তারপরই নিশ্চিত করে গঙ্গাকে করোনামুক্ত বলে ঘোষণা করা হল।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন এপ্রিল ও মে মাসে গোটা দেশে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছিল, তখন আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে গঙ্গার পাড়ে এসে ঠেকছিল একের পর এক মৃতদেহ।
এসব দেহ করোনায় মৃতদের বলে জানা যায়। এও জানা যায় বিভিন্ন জায়গায় পরিবারের লোকজন করোনায় মৃত পরিবারের সদস্যের সঠিক পদ্ধতিতে সৎকার না করে দেহ ভাসিয়ে দিচ্ছেন জলে।
শুধু গঙ্গা বলেই নয়, যমুনা সহ অন্য নদীতেও একই ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়। খরচ বাঁচানোও এক্ষেত্রে একটা বড় কারণ ছিল।
এমনকি গঙ্গার পারে মাটি খুঁড়ে দেহ পুঁতে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনার পর অনেকেই গঙ্গার জলে নামা বা জল ব্যবহার করা থেকে নিজেদের বিরত রাখছিলেন।
অনেকের ধারণা হয়েছিল যে এত করোনায় মৃতের দেহ ভেসে আসার পর জলেও করোনা ভাইরাস ভরে গিয়েছে। এবার গঙ্গাকে করোনামুক্ত ঘোষণার পর সকলেই স্বস্তিতে গঙ্গার জল ব্যবহার করতে পারবেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা