প্রবল গরমের ধাক্কায় শোচনীয় হাল গঙ্গার, কি হবে এবার
আগামী দিনে তাহলে কি হবে। এটাই এখন সকলের প্রশ্ন। গঙ্গাকে রক্ষা করাই ক্রমশ দায় হয়ে উঠতে চলেছে। প্রতিবছর খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি।
গঙ্গানদী দেশের একটি নদীই নয়, দেশের অধ্যাত্ম চেতনার অংশ। গঙ্গার জলকে মানুষ ঈশ্বর সমতুল বলে শ্রদ্ধা করেন। সেই গঙ্গাকে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ আগেই গ্রহণ করেছিল। কিন্তু তারপরেও গঙ্গার হাল ক্রমশ বেহাল হচ্ছে বিহারে।
গঙ্গা তার উৎস থেকে মোহনার পথে বয়ে যায় বিহারের ওপর দিয়ে। বিহারে গত কয়েক বছরে সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়েছে গঙ্গার জলস্তর নেমে যাওয়া। যা প্রতিবছরই বদলে যাচ্ছে। একটা হিসাব বলছে, ভাগলপুরের কাছে যেখানে ২০২৩ সালে গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৭ মিটার, তা ২০২৪-এ নেমে এসেছে ২৪.৫ মিটারে।
বলা হচ্ছে গঙ্গার জলস্তর এমন উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে থাকার কারণ ২টি। এক তো তাপপ্রবাহ একটা বড় ভূমিকা নিচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছে গঙ্গার ওপর প্রচুর নির্মাণ।
গঙ্গা বাঁচাও অভিযানের সঙ্গে যুক্ত গুড্ডু বাবার দাবি, গঙ্গার ওপর অনেক সেতু নির্মাণ এবং গঙ্গার গা ঘেঁষে ২ পাড়ে প্রচুর নির্মাণ ক্রমশ গঙ্গার জলস্তরকে নামিয়ে দিচ্ছে।
এমনকি পাটনা থেকে যে মেরিন ড্রাইভ গঙ্গার ধার দিয়ে শুরু হয়েছে তাকেও গঙ্গার জলস্তর নামানোর জন্য কাঠগড়ায় চাপিয়েছেন গুড্ডু বাবা। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রতি বছর ৭৩৬ মেট্রিক টন পলি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। সেই পলির মাত্রা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গঙ্গায় পলি পড়ে যাচ্ছে।
বিহারের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গারই যে কেবল এমন বেহাল দশা এমনটা নয়। বিহারের অন্য অনেক নদী যেমন কোশী, গণ্ডক, বুড়ি গণ্ডক, ঘাগরা, কমলা বালান, ফল্গু, দুর্গাবতী, সব নদীরই জলস্তর উল্লেখযোগ্য ভাবে নিচে নামছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা