মঙ্গলবার মকরসংক্রান্তি। এমন পুণ্য তিথিতে ভোর ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত স্নানের জন্য সবচেয়ে ভাল সময়। তিথি-নক্ষত্রের অবস্থান মেনে এই সময় হল স্নানের আদর্শ সময়। সেই পুণ্যস্নানের জন্য গত রবিবার থেকেই গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীদের ভিড় জমা শুরু হয়েছে। সোমবার সেই ভিড় উপচে পড়ল। বাস, ট্রেন সর্বত্র মানুষের ঢল। গন্তব্য একটাই। গঙ্গাসাগর। পুণ্যস্নান সেরে কপিল মুনির আশ্রমে মাথা ঠেকিয়ে পুণ্য অর্জনের আশা বুকে করে কাতারে কাতারে মানুষ ছুটে চলেছেন। ৮ দিনের বাচ্চা থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ। সব বয়সের মানুষ রয়েছেন এই ভিড়ে।
গঙ্গাসাগর উপলক্ষে সেখানে সরকারি বন্দোবস্তও সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য তৎপর পুলিশ। রয়েছে নিশ্ছিদ্র সুরক্ষা বলয়। অনেকে আবার ভিড় এড়াতে ২-৩ দিন আগেই স্নান সেরে যান গঙ্গাসাগরে। তবে মূল ভিড়টা জমে মকরসংক্রান্তিতেই। মধ্যরাত থেকেই কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে শুরু হয়ে যায় পুণ্যস্নান। তারপর ভোরের আলো ফোটে। গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতীরে তখন শুধুই মানুষ। সকলেই জলে ডুব দিচ্ছেন। মন্ত্রোচ্চারণ করছেন। সূর্যের দিকে চেয়ে প্রণাম করছেন। এ ছবির পরিবর্তন হয়না। প্রতি বছর একই ছবি। আর কিছুটা সময়ের অপেক্ষা। তারপরই সেই মকরসংক্রান্তির পুণ্যস্নান শুরু হবে গঙ্গাসাগরে। তারই অধীর অপেক্ষায় সেখানে উপস্থিত পুণ্যার্থীরা। মঙ্গলবার সকালেও বহু মানুষ গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের জন্য উপস্থিত হবেন।