গঙ্গোত্রীতে দর্শন শুরু, ভক্তদের সব সুবিধা দেখছে পঞ্চ মন্দির ট্রাস্ট
চারধাম যাত্রার অন্যতম গঙ্গোত্রী ধামে অবশেষে মিলল ভক্ত আগমনের অনুমতি। ভক্তদের যাতে এখানে কোনও সমস্যা না হয় তার দেখভালের দায়িত্ব পালন করছে পঞ্চ মন্দির ট্রাস্ট।
খরস্রোতা পাহাড়ি গঙ্গাকে মাতৃজ্ঞানে পুজো করা হয় এখানে। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার অন্যতম শহর গঙ্গোত্রী। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত গঙ্গোত্রী ধামের মাহাত্ম্য তার চারধামের অন্যতম হয়ে ওঠার মধ্যেই প্রকাশিত। এখানেই রয়েছে মা গঙ্গার মন্দির। রয়েছে ভগীরথ রাজার মন্দির।
কথিত আছে ভগীরথ রাজা তাঁর পূর্বপুরুষদের পাপস্খলনের জন্য হিমালয়ে তপস্যা শুরু করেন। তাঁর তপস্যার জোরেই গঙ্গা স্বর্গ থেকে মর্তে অবতীর্ণ হন।
এই গঙ্গোত্রী ধাম থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে গঙ্গার উৎপত্তি। যা গোমুখ নামে পরিচিত। এই গঙ্গোত্রী ধামের গা বেয়ে হিমশীতল খরস্রোতা গঙ্গা বয়ে গেছে ভাগীরথী নামে। যা দেবপ্রয়াগের কাছে অলকানন্দার সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর গঙ্গা নামে বাহিত হয়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে গঙ্গোত্রী এক অন্যতম পুণ্যভূমি, এক পুণ্য ধাম। করোনার আগে প্রতি বছর ৭ থেকে ৮ লক্ষ ভক্ত সমাগম হত এখানে।
গত বছর এবং চলতি বছরে অবশ্য সেই ভক্ত সমাগম নেই। এখানে ভক্তদের আগমনেও এতদিন বাধা ছিল। অবশেষে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ও হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৮ সেপ্টেম্বর গঙ্গোত্রী ধাম খুলে গেছে ভক্তদের জন্য।
গঙ্গোত্রী ধামে আগত ভক্তদের নিশ্চিন্ত করছে পঞ্চ মন্দির ট্রাস্ট। এই ট্রাস্টই গঙ্গোত্রী মন্দিরের দেখভালে রয়েছে। এখানে পুজো দেওয়া থেকে ভক্তরা যাতে নিশ্চিন্তে দর্শন করতে পারেন সে ব্যবস্থা করা বা ভোগ লঙ্গরের বন্দোবস্ত করা, সবই সুন্দরভাবে পরিচালনা করছে ট্রাস্ট।
গঙ্গোত্রী মন্দির কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রাজেশ সেমওয়াল নীলকণ্ঠকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, গঙ্গোত্রী ছোট জায়গা। কিন্তু প্রতি বছর এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় জমে। মা গঙ্গার দর্শনের মধ্যে দিয়ে মোক্ষ লাভের আশায় ছুটে আসা ভক্তদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রাখে পঞ্চ মন্দির ট্রাস্ট। — তথ্য ও চিত্র – কামাখ্যাপ্রসাদ লাহা