সেই ২০০৫ সালে দাবার জগত থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন চৌষট্টি ঘরের সম্রাট। পা রেখেছিলেন রাশিয়ার রাজনীতির আঙিনায়। গিয়েওছিলেন অনেকদূর। খোদ ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু রাজনীতি আর দাবা এক নয়। পুতিনের কাছে গোহারান হারার পর থেকেই নিজেকে ফের রাজনীতি থেকে গোটাতে শুরু করেছিলেন তিনি। আজীবন বিশ্বনাথন আনন্দকে শত্রুই মনে করে গেছেন গ্যারি। আনন্দের বিরুদ্ধে যিনিই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছেন, তাঁকেই নানাভাবে সাহায্য করেছেন কাসপারভ। সে গেলফান্ড হোন বা কার্লসেন। তবে নিজের জীবনে অনেক লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে।
আজারবাইজানের বাকু শহরের ছেলে কাসপারভ মাত্র ২২ বছর বয়সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তথা রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির ঘনিষ্ঠ আনাতোলি কারপভকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব জেতেন। সে সময়ে গোটা রাশিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টাররা কারপভকে জেতাতে সবরকম সাহায্য করছিলেন। অন্যদিকে একা লড়ছিলেন তরুণ গ্যারি। সেখানেও বাজিমাত করেন তিনি। এরপর দীর্ঘ সময় বিশ্বসেরার শিরোপা ধরে রাখা, ফিডের সঙ্গে গণ্ডগোল, নিজে আলাদা সংগঠন করে সমান্তরাল বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করা। সবই করেছেন কাসপারভ। এবার ফের সেই দাবার জগতেই ফিরতে চলেছেন তিনি। সামনের মাসেই চৌষট্টি ঘরের সামনে গালে হাত দিয়ে তাঁকে দেখতে মুখিয়ে আছে দাবা বিশ্ব।