ফের বলিউডে শোকের সংবাদ। পরলোকে যাত্রা করলেন বলিউডের স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী গীতা কাপুর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। গত শনিবার সকালে মুম্বইয়ের একটি বৃদ্ধাশ্রমে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘পাকিজা’ সিনেমায় অভিনয় করা অভিনেত্রী। চোখের জলে এদিন গীতা কাপুরকে বিদায় জানান বৃদ্ধাশ্রমের সন্তান পরিত্যক্ত অন্যান্য প্রবীণ-প্রবীণারা। এদিন অভিনেত্রীর মৃত্যুর সংবাদ ট্যুইট করে দেশবাসীকে জানান সেন্সর বোর্ডের সদস্য অশোক পণ্ডিত। মৃত্যুর আগে গীতা কাপুর তাঁর ছেলে ও মেয়েকে চোখের দেখা দেখতে চেয়েছিলেন। তাঁর সেই শেষ ইচ্ছাপূরণ হয়নি। মায়ের মৃতদেহের সৎকার করুক তাঁর ছেলেমেয়েরা। এই আশাতেই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর মরদেহ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে মুম্বইয়ের ভিলে পার্লের কুপার হাসপাতালে। অভিনেত্রীর ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন গীতা কাপুরের শুভানুধ্যায়ীরা।
সূত্রের খবর, শেষ বয়সে সন্তানদের চূড়ান্ত অবহেলার শিকার হন গীতা কাপুর। অভিযোগ, ২০১৭ সালের মে মাসে অসুস্থ গীতা কাপুরকে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে চম্পট দেন অভিনেত্রীর ছেলে পেশায় কোরিওগ্রাফার রাজা। পেশায় এয়ার হোস্টেস মেয়েকেও একদিনের জন্য মায়ের খোঁজ নিতে দেখা যায়নি। অসহায় নিপীড়িত গীতা কাপুরের চিকিৎসা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন অশোক পণ্ডিত ও প্রযোজক রমেশ তুরানি। মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়া অভিনেত্রীকে তাঁরা নিয়ে যান মুম্বইয়ের একটি বৃদ্ধাশ্রমে। সেখানেই গত ১ বছর ধরে গুমরে গুমরে দিন কাটাচ্ছিলেন গীতা কাপুর। সন্তানদের অবহেলা ও অত্যাচার ভিতরে ভিতরে অনেকদিন আগেই মেরে ফেলেছিল তাঁকে। বাকি ছিল শরীরের মৃত্যু। গত শনিবার সেই মৃত্যুই তাঁকে জাগতিক যন্ত্রণা থেকে যেন মুক্তি দিল। আর এরই সাথে অবসান ঘটল এক বেদনামাখা অধ্যায়ের।
(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার)