খেলার মাঠে দেড় দশক ধরে দাপটের সঙ্গে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করেছিলেন তিনি। তাঁর পায়ে একবার ফুটবল পড়লে তেতে উঠত গ্যালারি। সিঁদুরে মেঘ দেখতেন বিপক্ষের গোলকিপার। সেই লড়াকু মেজাজই তাঁকে এনে দিয়েছে ব্যালন ডি’অর, ফুটবলে বিশ্বসেরার পুরস্কার। কোনও আফ্রিকান ফুটবলার হিসাবে প্রথম তাঁর হাতেই ওঠে ব্যালন ডি’অর। এমনই এক সফল ফুটবলার রাজনীতিতে পা দেন অবসরের ২ বছর পর, ২০০৫ সালে। ২০১৭-তে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে রাজনীতির ময়দান সমানভাবে সফল দেশের প্রাক্তন তারকা স্ট্রাইকার জর্জ টলন মানে ওপ্পোং ওসমান উইয়া। ছোট করে জর্জ উইয়া।
২০১৮-র জানুয়ারিতে দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে লাইবেরিয়াবাসী পেতে চলেছেন জর্জকে। ম্যানচেস্টার সিটি, এসি মিলানের মত সেরা ইউরোপীয় ফুটবল ক্লাবে নিজ গুণে জায়গা করে নিয়েছিলেন জর্জ। চেলসি ও পিএসজির স্ট্রাইকার হিসেবে সমর্থকদের অজস্র ভালবাসা কুড়িয়েছেন। ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলের মঞ্চ থেকে অবসর গ্রহণের পর বিশ্রাম নিচ্ছিলেন আফ্রিকার ঘুমন্ত দৈত্য। এরপর রাজনীতির আসরে বিরোধীদের গোল দিতে মনস্থির করেন জর্জ। ২০০৫ সালের নির্বাচনে যদিও দুরন্ত স্ট্রাইকারকে গোল দিয়ে দেন আফ্রিকার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট অ্যালেন জনসন শারলিফ।
একসময় প্রথম অ-ইউরোপীয় খেলোয়াড় হিসেবে শ্বেতাঙ্গদের ক্লাবে চুটিয়ে খেলে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন জর্জ। এবার ২০১৭-তে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে তিনি কতটা সফল হন আপাতত সেদিকেই চেয়ে তাঁর দেশবাসী।