অযথা টেস্ট ও অপারেশন করায় ১৫ কোটি টাকা জরিমানার মুখে চিকিৎসক
অঙ্কটা ১৫ কোটি টাকার সামান্য বেশি। যা তাঁকে অবিলম্বে গুনতে হবে। অযথা রোগীদের টেস্ট করানো ও অপারেশন করানোর শাস্তি হিসাবে এই জরিমানার মুখে চিকিৎসক।
তাঁর নিজের একটি সংস্থা রয়েছে। সেখানে মূলত চোখের নানা চিকিৎসা হয়। যেখানে রোগীরা এলে অনেক রোগীর অযথা নানা টেস্ট বা পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
এমনকি যাঁর চোখের অপারেশনের দরকার নেই তাঁকেও অপারেশন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই সংস্থাটি ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক আরতি ডি পাণ্ডিয়ার।
চোখের এই চিকিৎসক রোগীদের যেসব টেস্ট করিয়েছেন তার অনেকগুলি ভাঙা মেশিনে করা হয়েছে বলেও জানতে পারে মার্কিন সরকার। এমনকি যাঁর ছানি পড়েনি, তাঁরও ছানি অপারেশন করা হয়। এরফলে কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন রোগীর ক্ষতিও হয়েছে।
এসব টেস্ট বা অপারেশন করিয়ে যে মেডিক্লেম ওই রোগীদের রয়েছে তার ভিত্তিতে চিকিৎসার খরচ সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হত সংস্থার তরফ থেকে। সরকারের ওই সংস্থাকে বিল পরীক্ষা করে দিয়ে দেওয়ার কথা।
সেসব বিল ফেডারেল হেলথ কেয়ার প্রোগ্রাম-এর কাছে পেশ করার পর সেই ভুয়ো চিকিৎসার বিল পাশও হয়ে যেত। এভাবে প্রচুর টাকা ভুয়ো চিকিৎসা করিয়ে সরকারের ঘর থেকে পেয়েছিল পাণ্ডিয়া প্র্যাকটিস গ্রুপ।
ভালই চলছিল এই কারচুপি। তবে তা ধরা পড়ে গেল। আমেরিকায় এই সংস্থা খুলে চোখের চিকিৎসা করা আরতি পাণ্ডিয়া এখন বিপদে পড়েছেন।
সরকার আরতির এই জালিয়াতির জন্য তাঁকে ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে। যা নিজের অন্যায় মেনে নিয়ে দিতে রাজিও হয়ে গেছেন আরতি। অঙ্কটা ভারতীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ১৫ কোটি ৯ লক্ষ টাকার মত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা