নিমেষে ফাঁকা হচ্ছে জিভে জল আনা টিকার সিরিঞ্জ
থরে থরে সাজানো করোনা প্রতিষেধক টিকার সিরিঞ্জ। অবশ্যই সুস্বাদু। আর তাতেই এখন মাতোয়ারা মানুষজন। এমনই এক অনন্য উপায়ে ২০২১ সালকে আহ্বান জানাচ্ছেন প্রস্তুতকারকরা।
বার্লিন : ২০২০ যদি করোনা অতিমারি বছর হয়, তবে সকলেই প্রায় মেনে নিচ্ছেন ২০২১ সাল হতে চলেছে করোনা প্রতিষেধক টিকার বছর। ২০২০ যতটাই হতাশার ছিল, ২০২১ সাল ততটাই আশাব্যঞ্জক হতে চলেছে ভেবে খুশি বিশ্বের আমজনতা।
২০২১-কে করোনা প্রতিষেধক টিকার বছর বলে পালন করতে তাই কোমর বেঁধে নতুন নতুন উপায় ভাবছেন অনেকে। তারই এক অসামান্য উদাহরণ তৈরি করল জার্মানির ডর্টমুন্ড শহরের সুয়ার্নার বেক প্যারাডাইস বেকারি।
তাদের সেলফ জুড়ে এখন থরে থরে সাজানো রয়েছে করোনা প্রতিষেধক টিকার সিরিঞ্জ। না সত্যি করে সিরিঞ্জ নয়। কিন্তু দেখতে হুবহু এক। বেকারির এই সিরিঞ্জ আসলে এক সুস্বাদু কেক। তবে টিকার সিরিঞ্জের আদলে তৈরি।
সাদা ও সি-গ্রিন, এই ২টি রং জায়গা পেয়েছে কেক-এ। আর নতুন বছরে কনকনে ঠান্ডায় কেকের চাহিদা তো রয়েছেই। যদিও টিকার আদলে সিরিঞ্জ তৈরি করবে কিনা তা নিয়ে এক দোনামনায় ছিল বেকারি কর্তৃপক্ষ। তারপর যা হয় হবে মনে করে বানিয়েই ফেলে এই বিশেষ কেক। আর তা সেলফে জায়গা পেতেই এখন হুহু করে বিকোচ্ছে টিকার সিরিঞ্জ কেক।
২০২১ সালকে করোনা প্রতিষেধক টিকার বছর হিসাবে পালন করতেই তাদের এই উদ্যোগ বলে জানিয়ে দিয়েছে বেকারি কর্তৃপক্ষ। এই কেক বানিয়ে তারা শুধু এখন লাভের গুড়ই ঘরে তুলছে না, তার সঙ্গে উপরি পাওনা হয়েছে বহুল পরিচিতি।
দেশে বিদেশে তাদের এই কেকের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। ডর্টমুন্ড শহরের বহু মানুষ হাজির হচ্ছেন এই কেকে কামড় দিতে। তবে সুয়ার্নার বেক প্যারাডাইস বেকারি করোনাকালে এই প্রথম চমক দিল না।
গতবছর যখন করোনা ছড়াচ্ছে তখন লকডাউনের সময় এক আতঙ্কের কেনাকাটা বা প্যানিক বাইং শুরু হয়েছিল বিভিন্ন জায়গায়। মানুষজন যা সামনে পাচ্ছিলেন তা কিনে ঘরে মজুত করার চেষ্টা করছিলেন। যাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হলেও তাঁদের প্রয়োজন মিটতে পারে। সে সময় দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন এমন জিনিস দোকান থেকে নিমেষে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছিল।
বিদেশের বিভিন্ন দেশে হাহাকার পড়েছিল টয়লেট রোলের। যে যতটা পারছিলেন তুলে নিচ্ছিলেন টয়লেট রোল। সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখে সুয়ার্নার বেক প্যারাডাইস বেকারি তখন তৈরি করেছিল টয়লেট রোল-এর মত দেখতে কেক। যা তাদের সেলফ থেকে হুহু করে বিক্রি হয়েছিল। অবশ্যই ক্রেতারা ভুলবশত কেনেননি। বরং সেই আতঙ্কের পরিবেশেও এই চমকে রসনা তৃপ্তি ছিল মূল উদ্দেশ্য।