পাওয়া গেল সাড়ে ৩ হাজার বছর আগের শাক রান্নার পাত্র
শাক রান্না করে খাওয়ার প্রচলন এখন বিশ্বজুড়েই রয়েছে। এর খাদ্যগুণও যথেষ্ট। কিন্তু কবে প্রথম মানুষ শাকপাতা রান্না করে খেতে শিখেছিল। হদিশ পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
শাক রান্না করে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে বিশ্বজুড়ে। শাকের পুষ্টিগুণ নিয়েও কোনও সন্দেহ কারও নেই। পুষ্টিবিদরাও শাক খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
সবুজ পাতা খাওয়ার রেওয়াজ কিন্তু আজকের নয়। শাকপাতাও যে রান্না করে খাওয়া যায় তা মানুষ জেনেছিল কয়েক হাজার বছর আগে। তারও আগে শাকপাতা খাওয়া হলেও তা খাওয়া হত কাঁচা।
রান্না করে খাওয়ার প্রচলন প্রথম হয় আফ্রিকায়। পশ্চিম আফ্রিকায় শাকপাতা খাওয়ার প্রচলন শুরু হয়। তারপর তা ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা বেশ কিছু নিদর্শনের হদিশ পেয়েছেন, যা দেখে তাঁরা নিশ্চিত হতে পেরেছেন যে মানুষ শাকপাতা রেঁধে খেতে শেখে সাড়ে ৩ হাজার বছর আগে।
জার্মানির গোথা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটেনের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিকদের যৌথ উদ্যোগে এক খননে পশ্চিম আফ্রিকায় সাড়ে চারশো প্রাগৈতিহাসিক পাত্রের খোঁজ মিলেছে।
এর মধ্যে ৬৬টি পাত্রে জৈব উপাদানের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যা জলে দ্রবীভূত হয়না। এগুলি খতিয়ে দেখে প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানতে পারেন এইসব পাত্রে শাক রেঁধে খাওয়া হয়েছিল। এখনও পাওয়া এটাই সবচেয়ে পুরনো শাকপাতা রাঁধার হদিশ।
কেমন হত এই সাড়ে ৩ হাজার বছর আগের রান্না? এই রান্নায় শাকপাতা তো থাকতই, সেইসঙ্গে থাকত সবজি, মাছ বা মাংস।
সব মিলিয়ে একটি পদ রান্না হত। যা সে সময় পশ্চিম আফ্রিকায় খাওয়া হত। এটাই শাকপাতা রেঁধে খাওয়ার প্রথম ইতিহাস। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা