শরীরের জন্য নয়, অন্য কারণে এবার মাংস খাওয়া কমাতে হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞেরা
সাধারণত সুস্থ থাকতে, শরীর ঠিক রাখতে অতিরিক্ত মাংস না খাওয়ার পরামর্শই দেন চিকিৎসকেরা। তবে এবার একদম অন্য কারণে মাংস খাওয়া কমাতে বললেন বিশেষজ্ঞেরা।
সুস্থ থাকতে অনেকে মাংস খাওয়াই ছেড়ে দিয়েছেন। চিকিৎসকেরা শরীর সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত মাংস না খেতে বলছেন। কিন্তু জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা একদম অন্য কারণকে সামনে আনলেন। তাঁরা জানাচ্ছেন অবিলম্বে ইউরোপ ও আমেরিকায় অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার প্রবণতায় রাশ টানতে হবে। না হলে অন্য বিপদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশ রক্ষা করতে মাংস খাওয়া কমাতেই হবে। ইউরোপে একজন মানুষ বছরে ৮০ কেজি মাংস খেয়ে থাকেন। পরিবেশকে বাসযোগ্য রাখতে তাঁকে তা বছরে ২০ কেজিতে নামিয়ে আনতে হবে। কারণ প্রচুর পশু খেতে থাকলে একটি ইকোলজিক্যাল অসাম্য তৈরি হচ্ছে।
এছাড়া অনেক প্রাণির মাংস থেকে মিথেন জাতীয় গ্যাসের উৎপাদন হয়। যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এটি বিশ্ব উষ্ণায়নেরও বড় কারণ।
বিশেষজ্ঞেরা সাফ জানাচ্ছেন, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার মানুষজন যদি এভাবে মাংস খেতে থাকেন তাহলে যে পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা আন্তর্জাতিকভাবে নেওয়া হয়েছে তা কিছুতেই পূরণ হবে না। সেইসঙ্গে অনেক জায়গার বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়বে।
প্রাণিকে রক্ষা করে পরিবেশ বাঁচানোর পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞেরা আরও একটি দিককে তুলে ধরেছেন। তাঁদের মতে, অনেক মানুষ প্রাণিদের থেকে দুধ, ডিম পেয়ে থাকেন, যা বিক্রি করে বহু মানুষের জীবিকা চলছে।
যদিও সারাক্ষণ শাকসবজি খেলেও কিছু সমস্যা হবে বলে পাল্টা মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, অনেক এমন জায়গা রয়েছে যেখানে ভাল শাকসবজি হয়না। সেখানে এসব খাওয়া মুশকিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা