আগুনে গরমে শুকিয়ে কাঠ দেশের প্রধান নদী, হেঁটে বেড়াচ্ছেন মানুষজন
যে নদীটা টইটম্বুর জলে টলটল করত। যাকে সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে রাখার সবরকম উদ্যোগ নিয়েছিল দেশ। সেই নদী এখন প্রায় শুকিয়ে কাঠ।
এ নদী নিয়ে গোটা দেশটার একটা অহংকার আছে। এই নদীটি না থাকলে দেশের শিল্প মানচিত্রটাই এত প্রভাবশালী হতনা। দেশের অর্থনৈতিক বিকাশেও এ নদীর অবদান নেহাত কম নয়। সেই নদী চোখের সামনে যাচ্ছে শুকিয়ে। অথচ করার কার্যত কিছু নেই।
দেশের সরকারকেও দেখতে হচ্ছে তাদের সামনে তাদের সাধের নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। কারণ প্রকৃতির বিরুদ্ধে এ লড়াই অ-সম। আগুনে গরমে পুড়ছে গোটা দেশ। এমন গরম এই শীতপ্রধান দেশ দেখেনি। সেই গরমে নদীর জলও যাচ্ছে শুকিয়ে।
জার্মানির প্রধান নদী রাইন। রাইনকে রক্ষা করতে জার্মানি যথেষ্ট সজাগ। তার টলটলে জল দেখেই অভ্যস্ত মানুষজন। এমনকি রাইনের উপনদীগুলিও দেশের জলভাগের অন্যতম ভরসা। জার্মানির শিল্পোন্নয়নে রাইনের ভূমিকা প্রশ্নাতীত।
সেই রাইন নদী সূর্যের প্রখর তেজে ক্রমশ শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থা যে নদীর তলদেশ অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে। সেখানে হারিয়ে গেছে জল। স্থানীয়রা নদীর তলদেশের মাটিতে দিব্যি হেঁটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কোনও অসুবিধাই হচ্ছেনা।
আবহাওয়া দফতর তেমন কোনও সুখের বার্তা দিতে পারেনি। গরম এখনও চলবে। এখন তাই চিন্তা যে টুকু জল অবশিষ্ট রয়েছে সেটাও না শুকিয়ে যায়। আরও চিন্তা বড় জাহাজগুলি নিয়ে। সেগুলি জিনিসপত্র নিয়ে জলস্তর কমে গেলে যাতায়াত করতে পারবেনা এটাই স্বাভাবিক।
কয়েক জায়গায় জাহাজগুলির যাতায়াতের পরিস্থিতিতে থাকলেও সেখানকার জলও কমে যাচ্ছে। জাহাজ পরিবহণ ধাক্কা খাওয়ায় রেল ও সড়ক পরিবহণই এখন ভরসা হয়ে উঠছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা